ব্যুরো নিউজ,২৪ ফেব্রুয়ারি:একসময়, মাঠে বিরাট কোহলিকে কেউ যদি চটিয়ে ফেলত, তবে তিনি পাল্টা জবাব দিতেন আগ্রাসীভাবে। মাঠে প্রতিপক্ষের স্লেজিং কিংবা আক্রমণের জন্য কোহলি প্রায়ই ছিলেন প্রতিপক্ষদের কাছে এক ‘চ্যালেঞ্জ’। কিন্তু সময়ের সঙ্গে কোহলি শিখেছেন কিভাবে নিজের আগ্রাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। রবিবার, দুবাইয়ের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলির সেই শীতল মাথার উদাহরণ আবার দেখা গেল। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তীব্র উত্তেজনা থাকাটা স্বাভাবিক, তবে কোহলি জানিয়ে দিলেন, শুধু জিতলেই হবে, কিন্তু শান্তভাবে।
কোহলির সেঞ্চুরিতে ভারতের জয়ঃ পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত
কোহলিকে খেপানোর চেষ্টা
ম্যাচে পাকিস্তানের স্পিনার আবরার আহমেদ বেশ কার্যকরী বোলিং করেন। তবে, তিনি কোহলিকে খেপানোর চেষ্টা করলেও কোহলি সেগুলো উপেক্ষা করেন। শুভমন গিলকে আউট করার পর আবরারের সেলিব্রেশন দেখে ভারতীয় সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন। কিন্তু কোহলি নিজে কখনও তার প্রতিক্রিয়া দেননি। একটি সময়, ফলো থ্রু-তে আবরার নিজের বল কোহলির দিকে ছুঁড়লেও কোহলি সেটা হাসিমুখে এড়িয়ে যান।
অথচ, আবরার যখন খারাপ আচরণ করছিলেন, কোহলি তখন সম্পূর্ণ বিপরীত মনোভাব দেখিয়েছিলেন। স্লেজিং বা উত্তেজনার বদলে কোহলি মাঠে সৌজন্য প্রদর্শন করেন। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৭ ওভারের শেষে কোহলি নিজেই এগিয়ে গিয়ে আবরারের সঙ্গে করমর্দন করেন এবং তার ভালো বোলিংয়ের জন্য তাকে প্রশংসা জানান। এটা ছিল এক অসাধারণ উদাহরণ, যেখানে আগ্রাসনের বদলে শান্তি আর শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। আবরার, যিনি ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন, কোহলির সৌজন্যের প্রতি সম্মান জানালেন।
ম্যাচ শেষে ভারত ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ভারত পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ৪২.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। কোহলি ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১১ বলে অপরাজিত ১০০ রান করে ম্যাচ সেরা হন। কোহলির শান্ত প্রতিক্রিয়া, তার প্রমাণ যে মাঠে শুধু ক্রিকেট নয়, একজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিত্বও গুরুত্বপূর্ণ।