ব্যুরো নিউজ,১৩ ডিসেম্বর:‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই নীতিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে।সূত্রের খবর শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিষয়ে একটি বিল পেশ করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। বহুদিন ধরেই বিজেপি এই নীতির পক্ষপাতী।তাদের দাবি ঘন ঘন নির্বাচন দেশের উন্নয়নমূলক কাজকে ব্যাহত করছে।
সর্বকনিষ্ঠ দাবা বিশ্বচ্যাম্পিয়নঃ ১৮ বছর বয়সেই ইতিহাস গড়লেন ডি গুকেশ
কী বলছে মোদী সরকার?
সরকারের মতে একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন হলে, ভোটের খরচ কমবে এবং প্রশাসনিক কাজে গতি আসবে। বার বার আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার ফলে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি থমকে যায়, তা আর হবে না। পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের উপর ভোট সংক্রান্ত কাজের চাপও হ্রাস পাবে।এই নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কমিটি তাদের রিপোর্টে প্রস্তাব দিয়েছে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত এবং পুরসভা ভোট একই সময়ে করার ব্যবস্থা চালু করা হোক।‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির বিরোধিতা করছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।তাদের দাবি এই নীতি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ও সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছেন।তৃণমূল সংসদে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সলমন খানের সঙ্গে রশ্মিকা মন্দনার নতুন জুটিঃ আপ্লুত অভিনেত্রী কি বললেন?
বিরোধীদের আপত্তি এবং বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানোর কথা ভাবছে। আলোচনা এবং ঐকমত্যের মাধ্যমে একটি কার্যকর পদ্ধতি বের করার চেষ্টা চালানো হবে। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে দেশের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে। তবে, তা কতটা বাস্তবায়নযোগ্য এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, তা সময়ই বলবে।