ব্যুরো নিউজ,১২ ফেব্রুয়ারি :কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি বাংলার বর্তমান অবস্থা এবং অতীতের তুলনা তুলে ধরেন। নির্মলা বলেন, “১৯৪৭ সালে গোটা দেশে ২৪ শতাংশ শিল্প ছিল পশ্চিমবঙ্গের, যা এখন নেমে এসে মাত্র ৩.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।” তাঁর মতে, বাংলার অর্থনীতির অগ্রগতি অত্যন্ত ধীরগতির এবং এটি অন্যান্য রাজ্যগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
Aero India 2025ঃ ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও উদ্ভাবন প্রদর্শনে বড় চমক কি থাকছে?
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম
রাজ্যের অবস্থা তুলে ধরে নির্মলা বলেন, গত দুই দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু রোজগারের হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, দেশের মধ্যে মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক অবদানে অনেক নীচে অবস্থান করছে। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু আয় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪২ টাকা, যা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে সিকিমের তুলনায়।এর পাশাপাশি নির্মলা সীতারামন পিএম আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প এবং মিড ডে মিলসহ বিভিন্ন রাজ্য সরকারের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগও তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, “রাজ্য সরকার অনেক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অংশীদারিত্বের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি এবং দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
বিশেষ করে, ১০০ দিনের কাজ এবং মিড ডে মিলের মতো প্রকল্পগুলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে বলে তিনি সংসদে জানান।তাঁর বক্তব্যের মধ্যে ছিল, “পশ্চিমবঙ্গে নলবাহী পানীয় জল সরবরাহের হার ৪৩ শতাংশ, যা দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম। এই প্রকল্পগুলো তৃণমূল সরকারের ইচ্ছাকৃত বাধার কারণে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।”অর্থমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ১৯৮১ সালে বাংলার অর্থনীতিতে অবদান ছিল ৯.১ শতাংশ, কিন্তু এখন তা ৫.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কর্ণাটক এখন অনেক এগিয়ে, এবং তার মাথাপিছু আয় বাংলার থেকে অনেক বেশি।”
২০২৬ সালে বাংলায় কংগ্রেসের শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিকল্পনা!
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নেতারা সংসদে এই অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্র রাজ্যের উন্নয়নে কিছুই করছে না, তবে অর্থমন্ত্রী তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কঠোর ভাষায়।এদিকে, রাজ্যের অর্থনীতি গত চার দশকে অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের ২৩ শতাংশ অর্থনীতি কৃষি নির্ভর, ২৩ শতাংশ শিল্প নির্ভর এবং ৫৩ শতাংশ সার্ভিস নির্ভর। যদিও পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি এখন অনেক পিছিয়ে।