ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি: বেশ কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। সেখানকার বাসিন্দা তথা প্রভাবশালি নেতা শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে জমি দখল করে মাছের ভেড়ি বানানো থেকে শুরু করে মহিলাদের শ্লীলতাহানির মতো গ্রামবাসীরা এনেছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে দেখা করেছেন বহু রাজনৈতিক নেতানেত্রী। আর এবার সেই সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
চিটফান্ড কাণ্ডে মুকুলকে ইডির জেরা
কিন্তু আজ সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ তাঁকে সায়েন্স সিটির কাছে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখানেই পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে পাল্টা দাবি করতে শোনা যায়, যেখানে ১৪৪ ধারা লাগু আছে সেইসমস্ত জায়গায় তিনি যাননি। এছাড়া পুলিশের ব্যারিকেডও তিনি ভাঙেননি। তাও পুলিশ কেন তাঁকে গ্রেফতার করলো? সেই প্রশ্নই তিনি পুলিশকে করছিলেন। তবে শুধু নওশাদ নন। এর আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলের বহু নেতানেত্রীদের। সন্দেশখালির যাওয়ার পথে বাঁধা পেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি, কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ আরও অনেকে।
এদিন গ্রেফতারির পরে নওশাদ দাবি করেন, মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালি হয়ে তাঁর বাসন্তী যাওয়ার কথা ছিল। তিনি সায়েন্স সিটির কাছে নেমে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, তিনি যদি সন্দেশখালি এই মুহূর্তে যান তাহলে আবার সন্দেশখালির পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নওশাদ বলেন, “পুলিশ চাটুকারিতা করছে। এখানে ১৪৪ ধারা নেই, আমি কোনও ব্যারিকেডও ভাঙিনি। তা সত্ত্বেও আমাকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হল”। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। সকলের মনে এখন শুধু একটাই প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে কেন সন্দেশখালি কাণ্ডে বারবার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল? ইভিএম নিউজ