ব্যুরো নিউজ ১২ আগস্ট ২০২৫ : ৯ আগস্ট, ২০২৫-এর নবান্ন অভিযানে, কলকাতা পুলিশ অনুযায়ী হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ৭টি এফআইআর দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের দাবি, এই ঘটনার ফলে পাঁচজন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
অভিযোগ ও মামলা দায়ের
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নিউ মার্কেট থানায় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা, অগ্নিমিত্রা পাল এবং বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী-সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়া, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের হুমকি ও মারধর করা এবং হাইকোর্টের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নির্দেশ লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫টি এফআইআর রুজু হয়েছে (নিউ মার্কেট থানায় ৪টি এবং হেয়ার স্ট্রিট থানায় ১টি)। এর পাশাপাশি, আরও দুটি মামলা দায়ের করার জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
Nabanna : অভয়ার পরিবারকে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিল হাইকোর্ট, তবে পুলিশি নজরদারিতে !
পুলিশের অবস্থান ও তদন্ত
ঘটনার পরদিন রবিবার, কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, পাঁচজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের ছুটি হয়েছে, কিন্তু তিনজনের মাথায় আঘাত লাগায় তারা এখনো চিকিৎসাধীন। তিনি আরও বলেন যে, হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন, পুলিশকে মারধর, হুমকি ও সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে মোট সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
মিছিলে গোলমাল এবং বিতর্ক
কলকাতা পুলিশ নবান্ন অভিযানের জন্য সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ড এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ-কে নির্ধারিত স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এই নির্দেশ অমান্য করে ডোরিনা ক্রসিং থেকে নবান্নের দিকে অগ্রসর হন। এরপর পার্ক স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহেরু ক্রসিংয়ের কাছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।
এই ঘটনায় আরজিকর কাণ্ডে নিহত নির্যাতিতার মা-ও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার অভিযোগ, পুলিশ তাকে মারধর করেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন যে, তারা সিসিটিভি এবং ড্রোন ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, “ভিডিও ফুটেজ যাচাই না করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এটি আমাদের তদন্তের একটি অংশ। ফুটেজ যাচাইয়ের পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও সেইদিন আন্দোলনে অংশগ্রহণ কারীদের সাথে বচসা বাধায় খোদ পুলিশ সড়কে ব্যারিকেড গড়ে , যানজট তৈরি করে এবং আন্দোলনকারীদের হাতে এক ভারতের পতাকা ছাড়া কোনও রকমের হামালার উপযুক্ত সামগ্রী দেখা যায়নি অধিকতর সংবাদ মাধ্যমদের সম্প্রচারে ।
উল্লেখ্য এই পুলিসি অতিসক্রিয়তা বা সামান্যতম সক্রিয়তা গত ২১শে জুলাই কলকাতাতে শাসক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রসঙ্গে দেখা যায়নি ।
অতঃপর প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় !