ব্যুরো নিউজ,১ এপ্রিল: বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী সাম্রাজ্য ছিল মোঙ্গল সাম্রাজ্য। এক সময় এই সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল পূর্ব ইউরোপ থেকে শুরু করে জাপানি সমুদ্র পর্যন্ত। ২৪ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই সাম্রাজ্য ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত। মোঙ্গলরা ছিল দুর্ধর্ষ যোদ্ধা, এবং তাদের নৃশংসতা ইতিহাসের পাতায় এখনও স্মরণীয়। যদিও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য আয়তনে বৃহত্তর ছিল, মোঙ্গল সাম্রাজ্য একটানা বিস্তৃত ভূখণ্ডে গঠিত ছিল, যা এটিকে অনন্য করে তুলেছিল।
Today petrol price: আজ পেট্রল ও ডিজেলের দাম কোন রাজ্যে কত থাকছে এক নজরে জেনে নিন
মোঙ্গল সাম্রাজ্যের উত্থান
১২০৬ সালে মোঙ্গল উপজাতিগুলো একত্রিত হয়ে তেমুজিনকে তাদের নেতা নির্বাচিত করে। পরে তিনি চেঙ্গিস খান নামে পরিচিত হন। চেঙ্গিস খানের পূর্বপুরুষরা চীনের লিয়াও ও জিন রাজবংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। তবে চেঙ্গিস খান কৌশলে নিজের সাম্রাজ্যকে শক্তিশালী করে তোলেন। তিনি সেনাবাহিনীকে নতুনভাবে গঠন করেন এবং যুদ্ধে জয়ী হলে সম্পদ সমানভাবে বণ্টন করতেন, যা সাধারণ সৈন্যদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে।
Tollywood Gosip: বিয়ের পরেও নিস্তার নেই প্রাক্তনের হাত থেকে তাই সোহিনী এবার রনং দেহি
১২১১ সালে চেঙ্গিস খান চীনের জিয়া রাজবংশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। এরপর তিনি জিন রাজবংশের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং তাদের রাজধানী দখল করেন। ১২১৫ সালের মধ্যে চেঙ্গিস খান জিন রাজবংশের অর্ধেক ভূখণ্ড দখল করেন। পরে তিনি কারা কিতাই রাজ্য জয় করেন, যা তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এরপর চেঙ্গিস খান খোয়ারজম সাম্রাজ্যের দিকে নজর দেন। ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পাঁচশো প্রতিনিধিকে পাঠালেও খোয়ারজম শাসক তাদের আক্রমণ করেন। চেঙ্গিস খান প্রতিশোধ নিতে বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে আক্রমণ করেন। ওটরার, বুখারা ও সমরকন্দের মতো শহরগুলো ধ্বংস করে মোঙ্গলরা।
মোঙ্গল বাহিনী নিশাপুরে সবচেয়ে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালায়। ১২২১ সালে চেঙ্গিস খানের জামাতা বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হলে, পুরো শহর ধ্বংস করার নির্দেশ দেন তার মেয়ে। মোঙ্গল সেনারা নারী-পুরুষ, শিশু সবাইকে হত্যা করে এবং নরমুন্ডের পিরামিড তৈরি করে। চেঙ্গিস খানের শাসনামলে আনুমানিক ৪ কোটি মানুষ নিহত হয়েছিল, যা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যার মধ্যে পড়ে। মোঙ্গল সাম্রাজ্যের উত্থান বিশ্ব ইতিহাসকে দীর্ঘদিন প্রভাবিত করেছে।

















