ডিসেম্বরেই

 

ব্যুরো নিউজ, ৮ এপ্রিল: নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে পৌঁছচ্ছে। সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে আরো একবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাঁকুড়ার রায়পুরের সবুজ সংঘের মাঠে দলীয় প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে জনসভা করেন। এই সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, ‘প্রধানমন্ত্রী রবিবার জলপাইগুড়িতে সভা করলেন। তা নিয়ে কিছু বলার নেই। আপনি ব্লকে ব্লকে সভা করুন। এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়ে আপনি একবারও সাহায্যের কথা বললেন না? যাঁদের ঘরবাড়ি চলে গিয়েছে, যাঁদের বাচ্চারা মারা গিয়েছে, যাঁরা এখনও লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য কিছুই বললেন না! আমি তো মাঝরাতে ছুটে গিয়েছি, তদারকি করেছি।’

“আমাদের নেতারা গ্রেপ্তার হলে, তাঁদের স্ত্রীরা রাস্তায় বেরোবে” মোদি-মমতা সংঘাত চরমে!

Advertisement of Hill 2 Ocean

ঘরহারাদের নিয়ে বাক্য ব্যয় করলেন না কেন? প্রশ্ন মমতার

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই তিন জেলা। এবার এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন তৃণমূল নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী রবিবার জলপাইগুড়িতে সভা করলেও কেন ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে একটা কথাও বললেন না সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা।

 

প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর থেকে আবাসের টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবারের সভায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো কথা না বললেই আবসের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি রাজ্যের শাসক দলের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন,

‘৩০ হাজার কোটি টাকা গরিবের ঘর বানাতে দিয়েছি। আমি বলেছি, টাকা সোজা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাবে। তৃণমূল বলছে, কেন্দ্রের টাকা প্রথমে ওদের কাছে যাবে। আপনারাই বলুন, জনতার টাকা আমি তৃণমূলকে লুঠতে কেন দেব?’

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর