ব্যুরো নিউজ, ১৯ মে : আজ রবিবাসরীয় প্রচারে নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের একাধিক জায়গায় জনসভা করবেন মোদী। তেমনই পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতোর সমর্থনে প্রচারে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখান থেকেই রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি, কারচুপি, টাকা উদ্ধার এমনকি সন্দেশখালি ইস্যুতেও রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক হাত নিলেন নরেন্দ্র মোদী।
ভোট প্রচারে ফের পাকিস্তানকে নিশানা মোদীর
এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর আজও তার অন্যথা হল না। এদিন তিনি নির্বাচনী প্রচার থেকে সাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি কেবল ভোট চাইতেই আসেননি। তিনি সাধারণ মানুষের আর্শীবাদ নিতে এসেছেন। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, বিকশিত ভারতের জন্য আর্শীবাদ নিতে এসেছেন তিনি।
এদিন সন্দেশখালি ইস্যুতে মোদী বলেন, সন্দেশখালিতে যে পাপ হয়েছে, তাতে বাংলার মহিলাদের ভাবাতে বাধ্য করছে। SC, ST পরিবারের লোকদের তো তৃণমূল মানুষই ভাবে না। শাহজাহানদের বাঁচাতে গিয়ে সন্দেশখালির বোনদেরই দোষী সাব্যস্ত করতে চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, তোলাবাজি, চুরি তৃণমূলের আচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষাতেও চুরি করেছে এই সরকার। শিক্ষকদের নিয়োগে হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে। লোন নিয়ে যুব সমাজ তৃণমূলের লোকেদের টাকা দিয়েছে। এখন ওদের দেনায় দায়ে ডুবতে হচ্ছে।
তিনি তৃণমূল ও কংগ্রেস দউই দলকে কটাক্ষ করে বলেন, কংগ্রেস, তৃণমূল এই দুই দলই একই থালার এপিঠ- ওপিঠ। সাধারণের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেন, তৃণমূল ও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক আপনারা নন। তাই ওদের (তৃণমূল ও কংগ্রেস) আপনাদের জন্য কোনও সমবেদনা নেই। তৃণমূল মানুষকে মিথ্যা বলছে। ওরা ভোট ব্যাঙ্ককে খুশি করতে CAA-নিয়ে বিরোধিতা করছে। তৃণমূল দলিত, আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। এদিকে, কর্নাটকে OBC কোটা মুসলমানদের দিয়ে দিয়েছে। এর পরেও ওরা বলছে, মা মাটি মানুষের রক্ষা করবে। আর আজ তৃণমূল নিজেই মা মাটি মানুষেরও ভক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, ৪ জুন ( লোকসভা ভোটের ফলাফল) আর বেশি বাকি নেই। মোদী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পোল খুলে ফেলেছে।
অর্থাৎ ভোটের ফলাফলের পর কোনও বড় ‘অ্যাকশন’ নিতে চলেছে মোদী সরকার। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ মোদী। এদিকে নিজেদের জয় নিয়ে প্রথম থেকেই আস্থা রেখেছে গেরুয়া শিবির। আর ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর কী স্ট্যান্ড নেয় মোদী সরকার তাই এখন দেখার বিষয়।