ব্যুরো নিউজ, ২৮ মে: সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে বঙ্গে ভোট প্রচারে এসে বিচারব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষাতে আক্রমণ শানালেন। বিচারব্যবস্থার গলা টিপে ধরছে তৃণমূল। অশোকনগরের প্রচার সভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মোদী।
‘এবার কি বিচারপতিদের পিছনে নিজেদের গুন্ডা লেলিয়ে দেবেন?’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের লক্ষ-লক্ষ ওবিসি সংরক্ষণ বাতিল করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ দিয়েছে, ২০১০ এর পরে রাজ্য সরকার যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়েছে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০১০ এর আগের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। এই রায়ের ফলে বাতিল হচ্ছে ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র।
অবাক কাণ্ড! শহরের রাস্তার মত এবার এভারেস্টেও ‘ট্রাফিক জ্যাম’!
অন্যদিকে এই রায়ের বিরোধীতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরোধীতা করে এই রায় মানেন না বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট জিহাদিদের সাহায্য করতে তৃণমূল যে লক্ষ-লক্ষ ওবিসিকে ধোঁকা দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট তার মুখোশ খুলে দিয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট বলেছে, ৭৭ মুসলিম জাতিকে ওবিসি ঘোষণা করা অবৈধ, অসাংবিধানিক। এটা করা যায় না।’ এর পরই তিনি বলেন, ‘তৃণমূল লক্ষ ওবিসি জওয়ানদের সাংবিধানিক অধিকার লুট করেছে।’
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমাদের আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? এখানকার বিচারপতিদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?’ ‘এবার কি বিচারপতিদের পিছনে নিজেদের গুন্ডা লেলিয়ে দেবেন?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য করেছেন তাতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।