ব্যুরো নিউজ, ১৭ মে : দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলা, বিহারের জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার মামলা, রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি যেমন কয়লা স্ক্যাম, রেশনে কারচুপি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার মামলা- সহ একাধিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি খাটের তলা থেকে মিলেছে টাকার খনির সন্ধান। কোথাও আবার ব্যাগ ভর্তি লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এই সকল দুর্নীতি থেকে মত ১.২ লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ইডির উদ্ধার করা এই কারি কারি টাকা সাধারণ মানুষকে দেওয়া যায় কি না সেই চিন্তাই করছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের সংসদে ক্ষোভ! ভারতের উত্থানের গাথা গেয়ে নিজের দেশকে তুলোধোনা করলেন পাকিস্তানি সাংসদ
এ রাজ্য দেশ এতদিন ধরে টাকার পাহাড় দেখেছে। গোটা বঙ্গবাসী রাত জেগে সেই টাকা গোনার সাক্ষীও থেকেছেন। এমনকি টাকা গুনতে গুনতে খারাপ হয়ে গিয়েছে টাকা গোনার মেশিনও। কিন্তু তবুও সেই বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্কটা ছিল এক প্রকার অজানা। আর এসব দেখে স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে। যে এত টাকা উদ্ধার তো হচ্ছে, কিন্তু সে টাকা যাচ্ছে কোথায়? তবে ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা আরবিআই- এই জমা করা হয়।
কিন্তু এবার সে টাকা সাধারণ মানুষকে দেওয়া যায় কি না তা নিয়েই ভাবছেন মোদী। সম্প্রতি, এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথাই জানিয়েছেন। মোদী জানিয়েছেন, বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় ইডির উদ্ধার করা টাকা দেশের গরিব মানুষকে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এও জানিয়েছেন যে, নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাই তিনি এটাই মনে করেন যে, সেই টাকা গরিব মানুষদেরই ফেরত পাওয়া উচিত। এর জন্য যদি আইনত কোনও পরিবর্তন আনতে হয়, তবে তিনি তা করতে প্রস্তুত। তিনি এ নিয়ে বলেছেন, ন্যায় সংহিতায় এই নিয়ে কিছু ধারা রয়েছে কিনা তা নিয়ে তিনি লিগ্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলছেন।