Health Department negligence

ব্যুরো নিউজ ১২ জুন: গরম, ধোঁয়া, আর হালকা আতঙ্কের মধ্যে মানিকচকের মথুরাপুর রায়পাড়ার সাব-সেন্টারে ঘটে গেল এক ভয়াবহ গাফিলতির ঘটনা—সিরিঞ্জ না পাওয়ায় শিশুদের জরুরি ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ রাখা হলো! প্রয়োজনীয় সময় আগেই পৌঁছে থাকা মা ও শিশুরা দাঁড়িয়ে থাকল দীর্ঘক্ষণ, তবে “সিরিঞ্জ নেই”—এই অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হলো। বরং স্বাস্থ্যকর্মীরা বললেন, “সিরিঞ্জ কিনে আনলে ভ্যাকসিন দেব।” ফলে বাজার ঘুরেও সঠিক সরঞ্জাম না পাওয়ায় অনেকে ফিরে গেলেন।

সংগ্রাম করতে হচ্ছে সিরিঞ্জ সংকটে

অভিযোগের তীর সরাসরি স্বাস্থ্য বিভাগের দিকে—মাস ধরে চলছে একই সমস্যা। গত মাসেও একই অজুহাত দিয়ে শিশুদের টিকা বন্ধ রাখা হয়েছিল, এবং অভিভাবকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কিন্তু এবারও একই ভুল, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের বিক্ষোভে ফেটে পড়ল সেন্টারে।

উপরে দায়ভার এসেছে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভীক শঙ্কর কুমার‑এর কানে। তিনি দাবি করেছেন, সিরিঞ্জের কোনো ঘাটতি নেই—যদি কোথাও না থাকে, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজেই কিনে ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তে গাফিলতি পেলে “কড়া পদক্ষেপ” নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রতি সপ্তাহে বুধ এবং বৃহস্পতিবার সেন্টারগুলোতে প্রায় ৫০টি সাব-সেন্টার থেকে শিশুদের পোলিও ও অন্যান্য ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। তবে মথুরাপুর ও ফত্তেনগরের সেন্টারগুলো গত এক মাস যাবৎ সংগ্রাম করতে হচ্ছে সিরিঞ্জ সংকটে |

প্রকাশ্যে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বিধবাকে মারধর ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘাটালে

আরও নজির আছে—গত বুধবারেও অভিভাবকেরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ফিরে যান, বর্তমানে সাফ জানানো হচ্ছে, “ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ না থাকায় আজ দেওয়া যাবে না।” আশাকর্মী মীরা মণ্ডলের কথায়, অবশ্যই এই গাফিলতির দায় তার বা অন্য কারও নয়—“আমাদের সিরিঞ্জ দেওয়া হয়নি। আমরা কীভাবে দেয়ার কথা বললাম?” কিছু অভিভাবক নিজে কিনে আনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেটিও বাজারে পাওয়া যায়নি। ফলে, ভ্যাকসিন না নিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন।

স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ: “বারবার আসতে বলা হচ্ছে, কিন্তু সিরিঞ্জ না থাকা মানেই ভ্যাকসিন পাওয়ার পথ বন্ধ।” ধারণা হয়, এখানে যেকোনো রকম সরবরাহ ব্যবস্থার অন্তরিক সমস্যা রয়েছে বা প্রশাসনিক লক্ষচু্যতি আছে, যা সরকারি নিয়মের বিপরীতে কাজ করছে।

আবাস যোজনার টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরি করতে পারছেন না

স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের এই অনুশাসনী গাফিলতি দৃষ্টিতে আনার দাবি তীব্র। কারণ, সন্তানের স্বাস্থ্য—পোলিও, ডিপথেরিয়া—কীভাবে বিপন্ন হতে পারে এমন গাফিলতি দিয়ে? এখন দেখার, অভীক শঙ্কর কুমার তাঁদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে গাফিলতির তদন্ত কবে এবং কীভাবে সম্পূর্ণ করেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর