history of manifesto

সৌরভ রায় চৌধুরী , ১৯ জুলাই ২০২৫ : ইশতেহার শব্দের পরিচিতি ও প্রাসঙ্গিকতা ,

ইশতেহার: একটি শব্দের বহুধা ব্যঞ্জনা

‘ইশতেহার’—বাংলায় বহুল প্রচলিত এই শব্দটি কেবল একটি পরিভাষা নয়, এটি একটি ধারণা, একটি প্রতিশ্রুতি এবং একটি ঐতিহাসিক দলিল। কোনো নির্দিষ্ট দল, ব্যক্তি বা সংস্থার নীতি, উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা বা দাবি-দাওয়া জনসমক্ষে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র বা ‘ম্যানিফেস্টো’ হিসেবে পরিচিত এই শব্দটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবহার অত্যন্ত ব্যাপক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এর ভূমিকা অপরিসীম। এটি ভোটারদের কাছে একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা তুলে ধরে, যা ক্ষমতায় আসার পর দলগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সাহায্য করে। ইশতেহারের মাধ্যমে দল ও জনগণের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং এটি তরুণ ভোটারদের আকর্ষণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবেও বিবেচিত হয়।

Lal Salam : ‘সালাম’ ও ‘সেলাম’ এর ইতিহাস এবং বামপন্থী সংস্কৃতিতে এর ব্যবহার

ইশতেহার: ভাষার উৎস ও ব্যুৎপত্তিগত বিশ্লেষণ

‘ইশতেহার’ শব্দটির ভাষাগত উৎস এবং ব্যুৎপত্তিগত মূলের গভীরে প্রবেশ করলে এর বহুমুখী তাৎপর্য উন্মোচিত হয়। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Manifesto’ এসেছে ইতালীয় ‘manifesto’ বা ল্যাটিন ‘manifestum’ থেকে, যার অর্থ ‘স্পষ্ট’ বা ‘সুস্পষ্ট’। ১৬২০ সাল থেকে ইংরেজিতে এই শব্দটির প্রথম নথিভুক্ত ব্যবহার পাওয়া যায়, যা ইউরোপীয় প্রেক্ষাপটে এর ঐতিহাসিক শুরুকে চিহ্নিত করে।

তবে, বাংলা শব্দ ‘ইশতেহার’ সরাসরি আরবি ভাষা থেকে এসেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষাগত পার্থক্য, যা শব্দটির স্বতন্ত্র যাত্রা তুলে ধরে। আরবিতে ‘ইশতেহার’ (اشتهار) শব্দটি ‘শ-হ-র’ (ش ه ر) ধাতু থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘বিখ্যাত হওয়া’, ‘পরিচিত হওয়া’ বা ‘প্রকাশিত হওয়া’। ‘ইশতেহার’ শব্দটি ‘ইস্তিফাল’ (استفعال) ফর্মে গঠিত, যা কোনো কিছুকে ‘পরিচিত করা’ বা ‘প্রচার করা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ ‘প্রচারণা’, ‘ঘোষণাপত্র’ বা ‘বিজ্ঞপ্তি’। এই ব্যুৎপত্তিগত অর্থ শব্দটির বর্তমান ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দের প্রভাব দীর্ঘদিনের, এবং ‘ইশতেহার’ শব্দটি সম্ভবত ফারসি ভাষার মাধ্যমে বাংলায় প্রবেশ করেছে, যেখানে ‘اشتهار’ (এশ্তেহর) হিসেবে এর ব্যবহার দেখা যায়।

বাংলা ভাষা বহু শতাব্দী ধরে আরবি ও ফারসি ভাষার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে, বিশেষ করে মুসলিম শাসনের সময়কালে। প্রশাসনিক, আইন-আদালত, ধর্মীয় এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অসংখ্য আরবি ও ফারসি শব্দ বাংলায় আত্মীকৃত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘আরজি’, ‘উকিল’, ‘কসম’, ‘মৌজা’ ইত্যাদি প্রশাসনিক ও আইন-আদালত সম্পর্কীয় আরবি শব্দ বাংলায় প্রচলিত। এই প্রভাব ‘ইশতেহার’ শব্দের বাংলায় আগমনের পথ সুগম করেছে, কারণ এটি একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ধারণাকে ধারণ করে, যা তৎকালীন প্রশাসনিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক ছিল।

এই ব্যুৎপত্তিগত বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে, ‘প্রকাশ্য ঘোষণা’ বা ‘ঘোষণাপত্র’ (যা উভয় শব্দই বোঝায়) ধারণাটি সার্বজনীন হলেও, এর ভাষাগত রূপ ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে আসতে পারে। বাংলা ভাষা, ঔপনিবেশিক শাসনের কারণে ইউরোপীয় (ইংরেজির মাধ্যমে) এবং ইসলামিক প্রভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ভাষা (আরবি/ফারসি) উভয় দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছে। ফলস্বরূপ, বাংলা একটি আরবি শব্দ (‘ইশতেহার’) গ্রহণ করেছে এমন একটি ধারণার জন্য, যার একটি সুপরিচিত ইউরোপীয় প্রতিশব্দ (‘manifesto’)ও রয়েছে। এটি বাংলার বহুস্তরীয় ভাষাগত ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।

ধারণাইংরেজি প্রতিশব্দল্যাটিন/ইতালীয় উৎসল্যাটিন/ইতালীয় অর্থবাংলা শব্দআরবি উৎসআরবি মূলের অর্থবাংলায় আগমনের পথ
ঘোষণাপত্র / প্রকাশ্য ঘোষণাManifestomanifestum / manifestoস্পষ্ট, সুস্পষ্টইশতেহারاشتهار (ishtihār)প্রচার, প্রসিদ্ধি, ঘোষণা, বিজ্ঞপ্তি (মূল ধাতু: শ-হ-র, অর্থ: বিখ্যাত হওয়া/পরিচিত হওয়া)আরবি (সম্ভবত ফারসি হয়ে)

বাংলায় ইশতেহার শব্দের ঐতিহাসিক পরিক্রমা

উনিশ শতকে বাংলার রাজনৈতিক পটভূমিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যা জনঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে। এই সময়ে সংবাদ-সাময়িকপত্রের উদ্ভব হয়, যা জনমত গঠন এবং বিভিন্ন ঘোষণা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। ‘ঢাকা প্রকাশ’ (১৮৬১) এবং ‘মিত্র প্রকাশ’ (১৮৭০) এর মতো পত্রিকাগুলো কার্যগতভাবে ঘোষণাপত্রের ভূমিকা পালন করত। নওয়াব আবদুল লতিফের মতো সংস্কারকদের নেতৃত্বে মুসলিম পুনর্জাগরণের আন্দোলনও কর্মসূচিমূলক ঘোষণা ধারণ করত, যা ছিল এক ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ‘ইশতেহার’। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, ‘ইশতেহার’ শব্দটি ব্যাপকভাবে গৃহীত হওয়ার আগেই বাংলায় একটি প্রকাশ্য ঘোষণাপত্রের ধারণা বিদ্যমান ছিল এবং এর চর্চা শুরু হয়েছিল।

বিংশ শতাব্দীতে ‘কমিউনিস্ট ইশতেহার’ (১৮৪৮) বিশ্বজুড়ে ‘ম্যানিফেস্টো’ ধারণার ব্যাপক প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অনুবাদ ও প্রভাব ‘ইশতেহার’ শব্দটির ধারণাকে বাংলায় সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে, বিশেষত রাজনৈতিক ও আদর্শিক প্রেক্ষাপটে।

১৯৬১ সালে সমীর রায়চৌধুরী, মলয় রায়চৌধুরী প্রমুখের নেতৃত্বে ‘হাংরি আন্দোলন’ একটি ইশতেহার প্রকাশের মাধ্যমে শুরু হয়। এটি বাংলা সাহিত্যে ‘ইশতেহার’ শব্দের একটি উল্লেখযোগ্য অ-রাজনৈতিক, শৈল্পিক ব্যবহার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ‘ইশতেহার’ শব্দটির ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ‘স্বাধীনতার ইশতেহার’ ঘোষণা করা হয়, যা একটি সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য ও কর্মপন্থা নির্ধারণ করে। যদিও পরবর্তীতে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ নামে আনুষ্ঠানিক দলিল প্রকাশিত হয়, ৩ মার্চের ‘ইশতেহার’ শব্দটির ব্যবহার এর ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে নির্দেশ করে এবং এটি একটি জাতীয় পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।

আধুনিককালে ‘ইশতেহার’ শব্দটি মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বা কর্মসূচিপত্র বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নীতি ও পরিকল্পনা ভোটারদের কাছে তুলে ধরার জন্য ‘ইশতেহার’ প্রকাশ করে। এই ইশতেহারগুলো এখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, যেখানে ভোটাররা দলগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে দায়বদ্ধ করতে পারে।

যুগ/সময়কালমূল উন্নয়ন/ঘটনা‘ইশতেহার’-এর সাথে প্রাসঙ্গিকতা
উনিশ শতকসংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের উত্থান, সামাজিক/রাজনৈতিক সংস্কার আন্দোলনপ্রকাশ্য ঘোষণার জন্য একটি চাহিদা/মাধ্যম তৈরি, নতুন শব্দ গ্রহণে অনুকূল ভাষাগত পরিবেশ।
মধ্য-উনিশ শতককমিউনিস্ট ইশতেহারের প্রকাশ (১৮৪৮)বিশ্বব্যাপী একটি কর্মসূচিমূলক ঘোষণার ধারণাকে জনপ্রিয় করে, বাংলায় এর চূড়ান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করে।
মধ্য-বিংশ শতকহাংরি আন্দোলন (১৯৬১)বাংলায় একটি শৈল্পিক/সাহিত্যিক ঘোষণার জন্য ‘ইশতেহার’ শব্দটির প্রথম সুস্পষ্ট ব্যবহার।
সত্তরের দশকের প্রথম দিকবাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা (৩ মার্চ, ১৯৭১)একটি মৌলিক জাতীয় নথির জন্য শব্দটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার, যা এর রাজনৈতিক গুরুত্বকে সুদৃঢ় করে।
আধুনিক যুগরাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী ইশতেহাররাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং জবাবদিহিতার দলিল হিসাবে ‘ইশতেহার’ এর ব্যাপক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহার।

 

বাংলা অভিধানে ইশতেহারের স্থান ও বানান বিতর্ক

‘ইশতেহার’ শব্দটি বাংলায় বহুল প্রচলিত হওয়া সত্ত্বেও, বাংলা একাডেমির ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’-এ সরাসরি ‘ইশতেহার’ বানানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর পরিবর্তে, ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ ‘ইশতাহার’ শব্দটিকে স্থান দিয়েছে, যা আরবি উৎস থেকে এসেছে এবং এর অর্থ ‘প্রচারপত্র’, ‘বিজ্ঞাপন’, ‘নোটিশ’ ইত্যাদি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বাংলা একাডেমি সম্ভবত মূল আরবি রূপের কাছাকাছি বানানকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বা একটি নির্দিষ্ট প্রমিতকরণ নীতি অনুসরণ করেছে।

বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র এবং ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ‘ইশতেহার’ এবং ‘ইশতাহার’ উভয় বানানই ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এই অসঙ্গতি নির্দেশ করে যে, নির্দেশমূলক (অভিধান কী বলে) এবং বর্ণনামূলক (মানুষ কীভাবে ভাষা ব্যবহার করে) ভাষাতত্ত্বের মধ্যে একটি গতিশীল টানাপোড়েন রয়েছে। ‘ইশতাহার’ হয়তো ব্যুৎপত্তিগতভাবে ‘বিশুদ্ধ’ বা পুরোনো বলে বিবেচিত হতে পারে, কিন্তু ‘ইশতেহার’ সম্ভবত সুপরিচিত “কমিউনিস্ট ইশতেহার” এবং আধুনিক রাজনৈতিক আলোচনার সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আরবি শব্দটি হলো ‘ishtihār’ (اشتهار)। বাংলা ‘ইশতাহার’ আরবি মূলের একটি কাছাকাছি ধ্বনিগত এবং বানানগত প্রতিনিধিত্ব, যেখানে ‘ইশতেহার’ একটি সামান্য স্বরবর্ণের পরিবর্তন (‘আ’ থেকে ‘এ’) জড়িত।

Puri Jagannath Dham : কেন শ্রীক্ষেত্র পুরীর বিকল্প সম্ভব নয় ? আধ্যাত্মিকতা এবং অদম্য প্রতিরোধের বহু শতাব্দীর ইতিহাস !

উপসংহার: ইশতেহার শব্দের বহুমুখী তাৎপর্য

‘ইশতেহার’ শব্দটি তার ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে আরবি ভাষার অন্তর্গত, যা ‘প্রচার’ বা ‘ঘোষণা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়, যদিও এর ধারণাগত ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘manifesto’ এর উৎস ল্যাটিন/ইতালীয়। এই দ্বৈত উৎস বাংলা ভাষার বহু-সাংস্কৃতিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। বাংলায় এর ব্যবহার সরাসরি নথিভুক্ত না হলেও, উনিশ শতকে জনঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা এবং সংবাদপত্রের উত্থান এর ধারণাগত ভিত্তি তৈরি করে। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ‘হাংরি আন্দোলন’ এবং ১৯৭১ সালের ‘স্বাধীনতার ইশতেহার’ ঘোষণার মাধ্যমে এর ব্যবহার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়, যা এর রাজনৈতিক, শৈল্পিক এবং জাতীয় গুরুত্বকে তুলে ধরে। আধুনিককালে এটি প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা এর কার্যকারিতা ও গুরুত্বের বিবর্তনকে নির্দেশ করে এবং গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতার একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। বাংলা একাডেমি অভিধানে ‘ইশতাহার’ বানানটি স্থান পেলেও ‘ইশতেহার’ বানানটিই বহুল প্রচলিত, যা ভাষাগত প্রমিতকরণে জনপ্রিয় ব্যবহার ও ব্যুৎপত্তিগত বিশুদ্ধতার মধ্যে টানাপোড়েনকে প্রতিফলিত করে।

‘ইশতেহার’ শব্দটি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, যা এর অভিযোজন ক্ষমতা এবং বিভিন্ন ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। এটি কেবল একটি শব্দ নয়, বরং ঐতিহাসিক পরিবর্তন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং সামাজিক আন্দোলনের ধারক। শব্দটির বিবর্তন বাংলা ভাষার গতিশীল প্রকৃতি এবং এর সমৃদ্ধ ইতিহাসকে তুলে ধরে, যেখানে বিদেশী শব্দগুলি স্থানীয় প্রয়োজন এবং ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নতুন অর্থ ও প্রাসঙ্গিকতা লাভ করে। এটি প্রমাণ করে যে, ভাষা একটি জীবন্ত সত্তা, যা সময়ের সাথে সাথে নতুন ধারণা, শব্দ এবং ব্যবহারের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয় এবং সমৃদ্ধ করে।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর