ব্যুরো নিউজ,১৮ এপ্রিল: তামিলনাড়ুর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত ২১টি মন্দিরে ভক্তদের দান করা সোনা এত দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। এবার সেই সোনাকে গলিয়ে ব্যাংকে গচ্ছিত রেখে সুদের মাধ্যমে আয় শুরু করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় তামিলনাড়ুর হিন্দু ধর্মীয় এবং ধর্মীয় সম্পত্তি বিষয়ক মন্ত্রী পি. কে. শেকর বসু জানান, মন্দিরের গলানো সোনা থেকে বছরে প্রায় ১৮ কোটি টাকার সুদ পাচ্ছে রাজ্য।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
কীভাবে চলছে এই পরিকল্পনা?
মন্ত্রী জানিয়েছেন, মোট ১০৭৪.3৪ কেজি অব্যবহৃত সোনা গলিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২৪ ক্যারাট সোনার বাট। এর মধ্যে তিরুচিরাপল্লীর মারিয়াম্মান মন্দির থেকেই এসেছে প্রায় ৪২৪ কেজি সোনা। এই সমস্ত সোনা মুম্বইয়ের সরকারি টাঁকশালে গলিয়ে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট বিমা প্রকল্পের অধীনে জমা রাখা হয়েছে। সুদ হিসেবে প্রতিবছর যা থেকে আসছে ১৭.৮১ কোটি টাকা।
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
এই আয় রাজ্যের মন্দিরগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, সংস্কার এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মন্দিরের উন্নয়নে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তিনটি আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা।
শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!
শুধু সোনাতেই থেমে থাকতে চায় না সরকার। মন্ত্রীর কথায়, ভবিষ্যতে মন্দিরে জমে থাকা অব্যবহৃত রুপোকেও গলিয়ে ব্যাঙ্কে জমা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে সেই প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। রুপো গলানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে নির্দিষ্ট বেসরকারি সংস্থাকে, এবং গলানোর কাজ চলবে প্রকাশ্যেই, মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধানে। তামিলনাড়ুর এই পদক্ষেপ এখন দেশজুড়ে নজর কাড়ছে। মন্দিরের দান পাওয়া মূল্যবান ধনসম্পত্তিকে নিছক সংরক্ষণ না করে, তা থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে পুনরায় মন্দির ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।