mamta against caa

ব্যুরো নিউজ, ২০ এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও প্রথম থেকেই সিএএ-এর বিরোধীতা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে সিএএ চালু হতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে ফের আরো একবার সিএএ নিয়ে নিয়ে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মাসে যারা বাড়ি এসেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা, ভোট না দিয়ে এক পাও নড়বেন না। যদি আপনি ভোট না দেন, আগামী দিনে আধার কার্ড থেকে আপনার নামটা বাতিল করে দিয়ে এনআরসি-তে ঢুকিয়ে দেবে। সিএএ-তে ঢুকিয়ে দেবে। এই সুযোগটা দেবেন না।’ তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন তবে কি এবার সিএএ বিরোধিতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতিয়ার করছেন মুখ্যমন্ত্রী?

৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথম নির্বাচন | অ-কাশ্মীরি ব্যক্তি জমা দিলেন প্রথম মনোনয়ন

CAA বিরোধীতায় প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

এর পাশাপাশি রেশন কার্ড নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ‘যেই আপনি অ্যাপ্লাই করলেন, ব্যস সব গেল! আপনি বিদেশি হয়ে গেলেন! আপনারা সবাই নাগরিক মনে রাখবেন, কোনও ভয় পাবেন না। যাঁর রেশন কার্ড নেই, যাঁর আধার কার্ড নেই হতাশায় ভুগবেন না, ভয় পাবেন না। নির্বাচনের পর আবার দরকার হলে ‘দুয়ারে সরকার’ করিয়ে দেব। ওখানে আবেদন জানাবেন।’ এখানেও প্রশ্ন উঠছে নির্বাচনের মধ্যেই কি রেশন কার্ড ও সিএএ নিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন?

‘উনি নিজেই ঠিক করতে পারছেন না , কখন কী বলবেন। কখনও বলছেন এনআরসির বিরোধিতা করবেন। কখনও বলছেন সিএএ-র বিরোধিতা করবেন। কখনও বলছেন অভিন্ন দেওয়ানী বিধির বিরোধিতা করবেন। ওঁর বিরোধিতা করাটাই প্রকৃতি।’ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সিএএ ও এনআরসি নিয়ে যেভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন তাতে কি ভোট বাক্সে খুব একটা প্রভাব পড়বে? প্রশ্ন ওয়াকিবহল মহলের।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর