ব্যুরো নিউজ,২৯ জুলাই:হাতে আর সময় মাত্র দেড় বছর। তারপরেই বাংলা দখলের লড়াই শুরু হয়ে যাবে। আর ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করতে গেলে কোন কৌশল অবলম্বন করতে হবে, তারই দিশা দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিন কয়েক আগেই সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ আর বলবো না। যো হামারে সাথ হাম উনকা সাথ…. আর এরপরেই রাজ্যজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
নীতি আয়োগের বৈঠকে মাইক অফ করে দেয়..রেডি প্লট মেনেই চিত্রনাট্য মমতার?কি বলছে কেন্দ্র?
২৬-এর আগে কোন হিসাব দেখালেন শুভেন্দু?
শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, অনেকেই প্রস্তাব দেন। কোনটি গৃহীত হবে আর হবেনা, সেটা রাজ্য সভাপতি এবং তার টিম ঠিক করেন। আর দলের সর্বভারতীয় কাঠামোতে সংখ্যালঘু মোর্চা রয়েছে। এবার হলদিয়ার দলীয় সভা থেকে শুভেন্দু বক্তব্যে বুঝিয়ে দিলেন, তার নিজের অবস্থানেই তিনি অনড় রয়েছেন। কি বলেছেন হলদিয়ার সভা থেকে শুভেন্দু? তার মতে, বিজেপিকে মুসলিমরা হিন্দুদের দল বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৯৫ শতাংশ ভোট দেয় মুসলিমরা। আর আমি যদি বলি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আরো পাঁচ শতাংশ হিন্দু ভোট জোগাড় করে সরকার গড়তে হবে। তাহলে ভুলটা কোথায়? নির্বাচন কমিশনে নথিভূক্ত সংবিধান মেনে চলে বিজেপি। তা সত্ত্বেও কেন আমি হিন্দুদের দল করি বলা হবে।
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই চার্জশিটে দক্ষিণ দমদম, পরের তালিকায় নজরে কারা?
এখানেই থামেননি শুভেন্দু। তার বক্তব্যে আরও যোগ করে বলেন, যদি এইভাবে আমাদের দাগিয়ে দেওয়া হয় যে, আমরা হিন্দুদের দল করি। আমার আমাদের দলের পক্ষে ৩৯ শতাংশ ভোট রয়েছে। সেটা যদি আর ৩ শতাংশ বাড়াতে পারি.. তাহলে মমতা প্রাক্তন আর ভাইপো জেলে.. হলদিয়ার সভায় শুভেন্দুর এই বক্তব্য শুনে উপস্থিত কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়। তারা হাততালি দিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্যকে সমর্থন জানান।