ব্যুরো নিউজ,২৭ জুলাই: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে এবার সরাসরি কটাক্ষ করল ইন্ডিয়া জোটের এই গুরুত্বপূর্ণ দুই শরিক কংগ্রেস এবং সিপিএম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। উদ্দেশ্য, এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান করা। কিন্তু বাজেট বঞ্চনার প্রতিবাদে ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরাই নীতি আয়োগ এর বৈঠক বয়কট করেছেন।কিন্তু যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন যোগ দিতেও পারেন।
নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট ইন্ডিয়া জোটের, তবুও মমতা যাচ্ছেন কেন?নেপথ্যে কোন কারণ?
মমতার দিল্লি যাত্রা নিয়ে সিপিএম-কংগ্রেস কি বললো?
এবার মমতার দিল্লি যাত্রা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, উনি বাইরে দেখাচ্ছেন কত বিরোধিতা করছেন। যখন বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগ এর বৈঠক বয়কট করছেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হাজির হচ্ছেন। ইন্ডিয়া ব্লকের কোনো মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন না। উনি বিজেপির কথা রাখতে যাচ্ছেন। বার্তা দিচ্ছেন, যে বিপদের সময় আমরা আপনার পাশে আছি। কংগ্রেসের সুরেই সুর মেলালেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব? এই দোলাচলে মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই থাকেন। গেলে কোনটা লাভ, আর না গেলে কোনটা লাভ? এটা ওনার রাজনৈতিকগতভাবে কতখানি পোষায়, তার উপরে নির্ভর করে। বলছেন বাংলা ভাগের প্রতিবাদ জানাবেন।
পুলিশের সঙ্গে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করলো কলকাতা হাইকোর্ট
সুজনের কথায়, যখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লি যাবেন বলে, তখন তো বাংলা ভাগের প্রশ্নই ওঠেনি। উনি যাবেন কিনা সেটা তার ব্যাপার। তবে উনি যাবেন, সেটা বহু আগেই জানিয়েছেন। তার কারণ, কয়েকদিন ধরে একটু এগিয়ে পিছিয়ে জল মাপছিলেন। এখন বুঝেছেন, মোদিজীর পাশে এই সময় থাকা ভালো। এইভাবেই কটাক্ষ করেছে সিপিএম। তবে বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কবে ছিল ইন্ডিয়া জোট? এখনো পর্যন্ত একটাও জয়েন্ট প্রেস কনফারেন্স করতে পারেনি তারা। তবে সাধারণত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেন না। এবার যদি কেউ কেন্দ্র বিরোধীতার পথ বেছে নেয়, তাহলে রাজ্য বঞ্চিত হয়। এখন দেখার বিষয়, নীতি আয়োগ এর বৈঠকে মমতার যোগদানের পরে জাতীয় রাজনীতির চিত্রটা কি রকম দাঁড়ায়?