ব্যুরো নিউজ,২২ অক্টোবর:জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন সম্প্রতি রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এই স্থগিতাদেশের ফলে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলো ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ করতে পারবে না।উত্তরপ্রদেশ এবং ত্রিপুরা সরকার কিছুদিন আগে নির্দেশ দিয়েছিল যে, অনুমোদনহীন এবং সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসাগুলি থেকে পড়ুয়াদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করাতে হবে। এই নির্দেশগুলো জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জারি করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ উভয় রাজ্যের নির্দেশিকার উপরও স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
টানা ৮ দিন ধরে মাথা আটকে থাকা সোনালি শিয়াল উদ্ধার বন বিভাগের সহযোগিতায়
সরকারি স্কুলে ভর্তি করার নির্দেশিকা
জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ নামে একটি সংগঠন উত্তরপ্রদেশ সরকারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশনায় সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই মামলাটি প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে উঠেছিল।সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্র এবং প্রতিটি রাজ্য সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। ওই রিপোর্টে মাদ্রাসার ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং শিশুদের শিক্ষার অধিকারে তার প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।
কলকাতায় আসছেন না অমিত শাহঃ আবহাওয়ার কারণে বাতিল সফর
প্রায় ১১ অধ্যায়ের ওই রিপোর্টে কমিশনের মূল সুপারিশ ছিল বিভিন্ন রাজ্যে মাদ্রাসাগুলিতে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা এবং সেগুলিকে বন্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো মন্তব্য করেছেন, “শিক্ষার অধিকার আইনের লক্ষ্য হল সমতা, সামাজিক ন্যায় এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বাস্তবে একটি বিপরীতধর্মী চিত্র দেখা যাচ্ছে।” কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বোর্ড এবং ইউডিআইএসই কোড থাকা মানে এই নয় যে মাদ্রাসাগুলি শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত আইন মানছে। বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ দিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসাগুলিকে যেন কোনো সহায়তা না করা হয়।এছাড়া, মুসলিম সম্প্রদায়ের শিশুদের মাদ্রাসায় ভর্তি না করে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করার নির্দেশিকা জারি হয়েছিল।