ব্যুরো নিউজ,৪ নভেম্বর:প্রবীণ কর্মীদের সম্মান জানাতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। এই আবহে পটাশপুরে সাউৎখণ্ড অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের নেতা ঘোষণা করেন, আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এক হাজার টাকা থেকে বেড়ে দু’হাজার টাকা হবে।
ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিদায়ঃ কলেজিয়ামের সুপারিশকৃত নামগুলো ঝুলে রয়েছে
দু’হাজার টাকা করার ঘোষণা
রাজ্য সরকারের আমলা বা মন্ত্রী না হয়েও এই বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা, যা রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার বৃদ্ধি নিয়ে দেওয়া এই ঘোষণা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিজেপি দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ‘ভাতা ও অনুদানের সরকার’ বলে কটাক্ষ শুরু হয়েছে।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি ৫০০ টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিল সব মহিলাদের জন্য। পরে তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পরে সেই অর্থ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলাদের জন্য ১২০০ টাকা করা হয়। এবার এই প্রকল্পের আওতায় ২০২৬ সালের আগে টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে দু’হাজার টাকা করার ঘোষণা করা হয়েছে।
অমিত শাহের নতুন প্রতিশ্রুতিঃ ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রচার
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বিজনবন্ধু বাগ এই ঘোষণা করে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দু’হাজার না করেন, তাহলে আমি নিজে গ্রামের পঞ্চায়েত থেকে দু’হাজার টাকা দেব।’ তার এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন করে জোরালো হয়ে ওঠে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্লক ও অঞ্চল ভিত্তিক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রবীণ কর্মীদের সম্মান জানানো হচ্ছে। শনিবার পটাশপুরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।