ব্যুরো নিউজ, ৮ মেঃ সাতসকালে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের লাহোর। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এই বিস্ফোরণগুলি ঘটে। তবে এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, একটি ড্রোনের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৫-৬ ফুট আকারের সেই ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, সকাল সকাল লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দর লাগোয়া গোপালনগর এবং নাসিরাবাদ এলাকায় হঠাৎ পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের পর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠতে দেখা যায়, যা বহু দূর থেকে নজরে আসে। এলাকায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আতঙ্কিত মানুষজন নিরাপত্তার আশায় বাড়ি ছেড়ে খোলা জায়গায় ছুটতে থাকেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে, বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ছুটছেন।
সেনাঘাঁটির পাশেই বিস্ফোরণ, বাড়ছে প্রশ্ন
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি অনুযায়ী, যে এলাকাগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকে বেশি দূরে নয় লাহোরের সেনাঘাঁটি। এই কারণেই বিস্ফোরণকে ঘিরে নতুন করে নিরাপত্তা ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে করাচি, সিয়ালকোট এবং লাহোর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিস্ফোরণের কোনও সরাসরি যোগাযোগ আছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে কারণ কিছুদিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে পাকিস্তানে। সেই অভিযানে ভারতীয় সেনা দাবি করেছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি স্থানে হামলা চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে লাহোরের বিস্ফোরণকে অনেকে নতুন করে সামরিক উত্তেজনার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় পাকিস্তানের প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোড়ন পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এবং ড্রোনের উত্স খুঁজে বের করার জন্য। গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহলও।