ব্যুরো নিউজ ২৪ অক্টোবর : আগামী শুক্রবার থেকে শহরে পুলিশের উদ্যোগে চারটি বৈধ বাজি বাজার চালু হতে চলেছে। ফলে, কলকাতায় বাজি বাজার বসার আগেই পুলিশের নতুন সিদ্ধান্তে বাজির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পুলিশকে কয়েক দিনের মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে কোন বাজি বৈধ হবে এবং কোনটি নিষিদ্ধ।
লরেন্স বিষ্ণুর তুতো ভাইয়ের দাবি সলমান খানকে ক্ষমা চাইতে হবে কৃষ্ণসার হত্যার জন্য
বাজি ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন
শনিবার রাত থেকেই বাজি ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে অনেকেই উদ্বিগ্ন, তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষার ফলে দায়সারা ব্যবস্থা হবে কিনা। ব্যবসায়ীদের দাবি, শব্দমাত্রার পাশাপাশি বাজির ধোঁয়া ও দূষণ পরীক্ষা করাও প্রয়োজন। লালবাজারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানালেন, বাজি পরীক্ষার জন্য সব পক্ষকে জানানো হয়েছে এবং পরীক্ষাটি সঠিকভাবে করা হবে।এখন পর্যন্ত কলকাতায় বেহালা, কালিকাপুর, টালা এবং ময়দান বাজি বাজারে পুলিশের তত্ত্বাবধানে বৈধ বাজি বাজার হতো। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে, টালা পার্কে বাজির পরীক্ষা করা হতো এবং কালীপুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকে বাজার শুরু হতো। শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ করা বাজির বিক্রি করা হত।তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, রাজ্যে বাইরের বাজি ঢুকছে এবং সেগুলোর শব্দমাত্রা পরীক্ষা না করে অনুমান করা ঠিক নয়। ‘সবুজ বাজি’ বিক্রির নামে বেআইনি বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা, তা নির্ধারণের জন্য আরও পরীক্ষা প্রয়োজন।গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, যথাযথ পরীক্ষা না হওয়ার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। গত বছর টালা পার্কে পরীক্ষায় ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা নিরি-র কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তারা ছাড়া পরীক্ষা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। শব্দ মাপার যন্ত্র তো নিয়ে আসা হয়েছিল, কিন্তু ধোঁয়া পরীক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল না।
পিরিয়ড মিস সঠিক ফল পেতে কবে করবেন প্রেগন্যান্সি টেস্ট!জানুন
এবার বাজি ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, পুলিশ ও প্রশাসন কড়া অবস্থান নেবে এবং সব দিক থেকে পরীক্ষা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেছেন, “আমরা প্রত্যাশা করছি এবার পরীক্ষাটি সঠিকভাবে হবে।”
