ব্যুরো নিউজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি: রুবি মোড়ের কাছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেলো গোটা ৪০ ঝুপড়ি। গৃহহীন হয়েছে কয়েকশো বাসিন্দা। লেলিহান আগুনের শিখা কেড়ে নিলো তাদের জীবনের সর্বস্ব। বাতাসে শুধু পোড়া গন্ধ। চারিদিকে কান্না ও হাহাকারের শব্দ।
কলকাতায় পালিত হলো ‘ট্রামে’র জন্মদিবস
রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রুবি মোড়ের অন্তর্গত একটি বেসরকারি স্কুলের পিছনের বস্তিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক ব্যাক্তি তার বাড়িতে মাটির উনুন জ্বালিয়েছিল। সেই সময় হাওয়া বইছিল। সেই হাওয়ায় আগুনের ফুলকি ছিটে সেই অগ্নি সংযোগ ঘটে। যেহেতু এলাকাটি ঘিঞ্জি তাই আগুন ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৪০ টি ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০০ বাসিন্দা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে আগুনের লেলিহান শিখায় সেখানকার মানুষের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় তারা সেই আগুন নেভাতে সক্ষম হন। আগুনের আতঙ্কে ঘর ছেড়ে সেখানকার বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর মধ্যেই তারা নিজেদের বাড়ি থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বের করতে গেলে ফেটে যায় কয়েকটি সিলিন্ডার। সিলিন্ডার ফাটার সেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা বস্তি চত্বর। নন্দীদেব নাইয়া নামে সেখানকার এক বাসিন্দা বলেন, “তখন বেশিরভাগ ঝুপড়িতে কেউ ছিলেন না। ফলে বেশ কয়েকটি ঘর তালাবন্ধ ছিল”। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের পাঁচ থানার পুলিশ। রিজার্ভ অফিস থেকেও আনা হয় প্রচুর সংখ্যক পুলিশকর্মী।
বাসিন্দাদের আক্ষেপ তারা আগুনে তাদের টাকা পয়সা সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সামগ্রি হারিয়েছেন। এলাকায় অবস্থিত একমাত্র মুদি দোকানের মালিক ব্রজেন মণ্ডল জানান, “দোকানে তার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র ও ঘরে ছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সমস্তটাই সেই বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে”। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ জানান, “ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র স্থানান্তর করার ব্যবস্থা হয়েছে। তাদের আপাতত দেখভালের দায়িত্ব নেওয়া হচ্ছে”। কলকাতা পুরসভার চেয়ারপারসন মালা রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে। কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে”।
এইরকম অবস্থায় এলাকাবাসীরা হাহাকার জুড়ে দিয়েছেন। তাদের মাথায় হাত পড়েছে সমস্ত কিছু খুইয়ে। এখন প্রশাসনের দিকে তারা তাকিয়ে আছেন যে তারা কী ব্যবস্থা নেবেন। ইভিএম নিউজ