ব্যুরো নিউজ,২৯ এপ্রিল: আইপিএলে এবারের পারফরম্যান্সে একেবারে ছন্দহীন কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। নয়টি ম্যাচে মাত্র তিনটি জয়, একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল— সব মিলিয়ে মাত্র সাত পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সাত নম্বরে তারা। প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে।
ক্রিকেটারই নাকি কোচের কাজকর্মে খুশি নন
এই ব্যর্থতার মাঝে দলের প্রধান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ক্রিকেটমহলে গুঞ্জন, দলের অনেক ক্রিকেটারই নাকি কোচের কাজকর্মে খুশি নন। বিশেষ করে, কিছু সিনিয়র ও বিদেশি খেলোয়াড় তাঁর কড়া ও রক্ষণশীল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না।
কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে, পাক দাবি— “ভারতীয় ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে”
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দলের এক বিদেশি ক্রিকেটার একটি ম্যাচের পরে বিপক্ষ দলের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ডিনারে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় নাকি অসন্তুষ্ট হন কোচ পণ্ডিত। যদিও দুই ক্রিকেটারই একই দেশের জাতীয় দলে খেলেন, এবং এটি নিছক এক বন্ধুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ ছিল। পরে কোচ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
দলের পেসার হর্ষিত রানা নিজেও স্বীকার করেছেন, “এবার সেই চার্মটা নেই। যা গম্ভীর জমানায় ছিল।” গতবারের সাফল্যে গৌতম গম্ভীর এবং অভিষেক নায়ারের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। গম্ভীর লখনউ সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় নায়ারও তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। কিন্তু পরে বোর্ড নায়ারকে সরিয়ে দিলে কেকেআর ফের তাঁকে দলে ফেরায়। এখন তিনি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
কেকেআরের কয়েকজন ক্রিকেটার প্রকাশ্যে গম্ভীর ও নায়ারের প্রশংসা করলেও কোচ পণ্ডিতের প্রতি তেমন শ্রদ্ধা বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি কেউ।এখন দলের ফল খারাপ হওয়ায়, কোচ হিসেবে পণ্ডিতের ভবিষ্যৎ নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। অনেকেই বলছেন, টিম ম্যানেজমেন্টে আরও উদার ও খেলোয়াড়বান্ধব মনোভাব প্রয়োজন।
তবে এটাও ঠিক যে, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত একজন অভিজ্ঞ কোচ। তাঁর কোচিংয়েই ২০২২ সালে রঞ্জি ট্রফি জেতে মধ্যপ্রদেশ। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর রেকর্ড যথেষ্ট সম্মানজনক।তবুও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ভিন্ন। এখানে শুধু কৌশল নয়, খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক, মানসিক সমর্থন এবং ড্রেসিংরুমের পরিবেশের ওপরেও সাফল্য নির্ভর করে।
এই পরিস্থিতিতে কেকেআরের ম্যানেজমেন্ট কি বড় কোনও পরিবর্তনের পথে হাঁটবে, নাকি মৌসুম শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে— সেটাই এখন দেখার বিষয়।