ব্যুরো নিউজ ১০ জুন: অশোকনগরের কিডনি পাচারচক্র সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। এই চক্রে ধৃত আইনজীবী প্রদীপকুমার বর-এর ফোন থেকে বেশ কয়েকজন ‘হেভিওয়েট’-এর নাম পাওয়া গেছে। পুলিশ এখন এই ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে এবং তাদের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নতুন তথ্য:
ধৃত আইনজীবী প্রদীপকুমার বরের ফোন ও ল্যাপটপ থেকে পুলিশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ এবং ‘হেভিওয়েট’ ব্যক্তিদের নাম পেয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতি: পুলিশ এখন এই ‘হেভিওয়েট’দের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাদের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আইনজীবীর ভূমিকা:
প্রদীপকুমার বর আলিপুর আদালতের একজন আইনজীবী। অভিযোগ, তিনি কিডনিদাতাদের এফিডেভিট করাতেন। এমনকি স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ‘নট রেকমেন্ডেড’ হওয়া কেসগুলোও তিনি আইনি সম্মতি পাইয়ে দিতেন। এর জন্য তিনি প্রতি এফিডেভিটের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিতেন, এবং ‘নট রেকমেন্ডেড’ কেসের ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন।
যোগাযোগের প্রমাণ:
পুলিশ দাবি করেছে যে প্রদীপকুমারের সঙ্গে কিডনি পাচারে জড়িত দালাল, দাতা এবং গ্রহীতাদের যোগাযোগের প্রমাণও পাওয়া গেছে।
প্রমাণের বাজেয়াপ্তকরণ:
ধৃত আইনজীবীর ল্যাপটপ, মোবাইল এবং কিডনি বিক্রি ও পাচার সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ অশোকনগর থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
পূর্বের গ্রেপ্তার:
এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত সুদখোর বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলকে গ্রেপ্তার করার পর কিডনি পাচারচক্রের পর্দা ফাঁস হয়। এরপর অমিত জানা সহ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের জেরা করেই আইনজীবী প্রদীপকুমার বরের নাম উঠে আসে।
ফরেনসিক পরীক্ষা:
প্রদীপকুমারের ফোন থেকে ডিলিট করা কল ডিটেইলস এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পুনরুদ্ধারের জন্য মোবাইলটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া জানিয়েছেন যে ধৃতের বয়ান থেকে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে এবং তাদেরও তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।