johar-request-junior-doctors-strike-ending

ব্যুরো নিউজ ২ অক্টোবর: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন জহর সরকার, যিনি আগে তৃণমূলের এমপি ছিলেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি এমপি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে রাস্তায়ও দেখা গিয়েছিল তাকে। এখন তিনি সমাজমাধ্যমে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি একটি বার্তা দিয়েছেন।

এইবার দুর্গাপুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন সবুজে ঘেরা দার্জিলিং

এবার কি তবে কাজে ফিরবে জুনিয়ার ডাক্তাররা

জহর সরকার তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “প্রিয় জুনিয়র ডাক্তার, আমি এমপি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি কারণ আমি আপনারা এবং মহিলাদের পাশে থাকতে চাই, যারা সুরক্ষা ও সম্মানের জন্য লড়াই করছেন। তবে, অনুগ্রহ করে কাজ থেকে দূরে থাকবেন না এবং সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলবেন না। তিনি এই আবেদন করে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি তাদের অবস্থান বদলের আহ্বান জানিয়েছেন।এখন দেখার বিষয়, জুনিয়র ডাক্তাররা এই আবেদন কতটা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে। সম্প্রতি, যখন জহর সরকার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে তাকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এখন, সেই জহর সরকারই আবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।এদিকে, রাজ্য সরকারও বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করছে। বর্তমানে, জুনিয়র ডাক্তাররা দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতি পালন করছেন। এর আগে তারা ৪২ দিন ধরে আন্দোলন করেছেন। এখন আবার পূর্ণ কর্মবিরতি চলছে, যা পুজোর সময়ে হাসপাতালে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সাধারণত, পুজোর সময় চিকিৎসকদের সংখ্যা কম থাকে, আর যদি জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে যান, তাহলে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

কলকাতায় ১৬৩ ধারা জারিঃ জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা

বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তাররা সাধারণ মানুষের জন্য আন্দোলন করছেন, কিন্তু তাঁদের কর্মবিরতির কারণে সেই সাধারণ মানুষই সমস্যায় পড়ছে। জহর সরকারের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “এদের মাথায় তুলেছেন। এরা উগ্র বামপন্থী। এদের আন্দোলন সর্বনাশা।”

 

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর