ব্যুরো নিউজ,২৮ ডিসেম্বর:উড়িষ্যার বনকর্মীদের একাংশের বক্তব্য বয়স অল্প হলেও জিনাতের চরৈবেতি স্বভাব আগা গোড়াই।বনকর্মীদের জিনা হারাম করে উড়িষ্যার সিমলিপাল থেকে ঘুরতে ঘুরতে এখন পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে জিনাত, যে বাঘিনী এখন পর্যন্ত নজর কাড়ছে বনদপ্তর ও এলাকাবাসীর। সিমলিপাল পার করে বেলপাহাড়ি, এরপর পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, রাইটার জঙ্গল পেরিয়ে অবশেষে মানবাজারে পৌঁছেছে জিনাত। শুক্রবার ভোরে খবর পাওয়া যায়, জিনাত মানবাজারের দু নম্বর ব্লকে ঢুকে পড়েছে।বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানান, সিমলিপাল থেকে আসা রেডিও কলারের সিগনাল থেকে জিনাতের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এলাকার লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে এই বাঘিনীর বিচরণ।
বাজার থেকে কিনে আনা গুড় কতটা খাঁটি কীভাবে বুঝবেন? গুড়ের ভেজাল শনাক্ত করুন সহজ পদ্ধতিতে
জিনাতকে ধরা যাবে?
রাইটার জঙ্গল ছিল ঘন এবং জনবসতি কম, কিন্তু সোনাঝুরির জঙ্গল ও বান্দোয়ানের তুলনায় মানবাজারের থানা এলাকা ঘন জনবসতির মধ্যে পড়ে, যা জিনাতের চলাফেরা আরও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।কখনো তার পায়ের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে, কখনো তার গায়ের লোম দেখা যাচ্ছে। এসব দেখে বনদপ্তরের আধিকারিকরা নিশ্চিত যে জিনাত মানবাজারের জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। যদিও বনকর্মীরা পর্যাপ্ত ফাঁদ প্রস্তুত রেখেছেন, তবে জিনাত কোনো ফাঁদে পা দেয়নি, বরং রাতে একটি খাঁচার পাশ দিয়ে চলে গেছে।এদিকে, বনদপ্তর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন গ্রামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সতর্কতা পাঠিয়েছে। ধমরপুর, বুরুডি, এবং ডাঙরডি গ্রামে বাইক প্রচারের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সাবধান করা হয়েছে।
একসময় যার ওজন ছিল ৯০ কেজিরও বেশি সেই সুনিধি চৌহান কীভাবে ২১ কিলো কমালেন?
বনকর্মীরা আশা করছেন, রাইটার জঙ্গলে অনেক শিকার রয়েছে এবং পাহাড়ে চড়তে যাওয়া ছাগলও বাঘিনীকে আকৃষ্ট করতে পারে, কিন্তু মানবাজারে গবাদি পশুদের সেখানে পাঠানো হয়নি।ফলে, তারা আশা করছেন জিনাত তেমন ঝামেলা না করেই ধরা পড়তে পারে।এখন একটাই প্রশ্ন: বনদপ্তরের আধিকারিকরা কি শেষ পর্যন্ত জিনাতকে ধরা করতে পারবেন? মানুষের চিন্তা ও উদ্বেগ বাড়লেও, তারা আশাবাদী যে শিগগিরই বাঘিনীকে শান্তিপূর্ণভাবে আটকানো সম্ভব হবে।