শর্মিলা চন্দ্র, ২২ মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল। বৃহস্পতিবার রাতেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন কেজরিওয়াল। এখন প্রশ্ন উঠছে, কেজরিওয়ালই কি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকাকালীন প্রথম গ্রেফতার হলেন? উত্তরটা না। কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হন। যদিও তিনি গ্রেফতার হওয়ার আগেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। তার আগে লালুপ্রসাদ যাদব, জয়ললিতাও গ্রেফতার হয়েছিলেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কেজরি
‘সব ভোটকর্মীকেই বসতে হবে পরীক্ষায়’ নির্দেশ কমিশনের
অতীতে আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ২০১৩-তে পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এই মামলায়। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন তে। ২০১৪-এ তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তিনি একাধিক বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন। কিন্তু তাঁরাও গ্রেফতার হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার ৫০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালা ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়াকেও হয়েছিলেন। ২০১৩-তে চৌতালাকে দশ বছরের সাজা শোনানো হয়।
অন্যদিকে, মধু কোড়া ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৯-এ খনি দুর্নীতি মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। কিন্তু এঁরা গ্রেফতারের সময় মুখ্যমন্ত্রীর ছিলেন না। সেই হিসেবে দেখতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই কেজরিওয়ালি প্রথম যিনি গ্রেফতার হলেন।