ব্যুরো নিউজ,২ অক্টোবর:আমেরিকার আশঙ্কাই সত্যি হয়ে উঠেছে। ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, তেল আভিভের আকাশে সাইরেন বেজে উঠেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। জেরুসালেমের কাছেও বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এক কোটি সাধারণ নাগরিককে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে। তবে, ইরানের মিসাইল হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে তোলপাড়ঃ পরিচালক অনিকেত ও কিঞ্জলের পালটা বিতর্ক
ইজরায়েল চুপ করে বসে থাকবে কি?
এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল চুপ করে বসে থাকবে না, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। সোমবার ইজরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের এমন কোনো স্থান নেই যেখানে তারা পৌঁছাতে পারবে না। মঙ্গলবার, ইরান কয়েক ডজন মিসাইল ছুড়েছে এবং ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ফলে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে, যার দিকে বিশ্বের নজর রয়েছে। এদিকে, মোহনবাগানের জন্যও পরিস্থিতি খুব উদ্বেগজনক। বুধবার ইরানে মোহনবাগানের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তারা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলবে। কিন্তু ইরানে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির কারণে মোহনবাগান সুরক্ষা সংক্রান্ত ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এএফসিকে ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে। আজ ম্যাচ-পূর্ববর্তী সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগান উপস্থিত হয়নি। যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।এখন প্রশ্ন উঠছে, যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে খেলতে না যাওয়ার জন্য মোহনবাগানকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে কিনা। এএফসি এখনো এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে তারা জানিয়েছেন, মোহনবাগানের অনিচ্ছার বিষয়টি এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের কাছে পাঠানো হবে।
মহালয়া ও গান্ধী জয়ন্তীতে রাজনীতির উত্তাপ
এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলকে সাহায্য করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্দেশ দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন ইরানের মিসাইল হামলা প্রতিরোধে আমেরিকার সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং নিয়মিত তথ্য প্রদান করা হচ্ছে।