লাবনী চৌধুরী, ১২ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির বর্ডার লাগোয়া অঞ্চল হিঙ্গলগঞ্জ। আর সেখানেই বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু, কী এমন ঘটলো হিঙ্গলগঞ্জে?
সন্দেশখালির আঁচ হিঙ্গলগঞ্জে?
মাসখানেক ধরেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সন্দেশখালির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে ইডি অভিযান চালাতে এলে শুরু হয় ঘটনার সূত্রপাত। ইডি আধিকারিকদের মারধোর করে শাহজাহানের অনুগামীরা। এরপর থেকেই পলাতক সন্দেশখালির সম্রাট শাহজাহান। তবে ঘটনা এখনেই শেষ নয়। শাহজাহানের হদিশ না মিললেও তার অনুগামী শিবু-উত্তম তাদের সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের দৌরাত্ম। আর দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের অত্যাচারে অতিস্ট হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষ। তাদের অভিযোগ, তাদের দেওয়ালে পীঠ ঠেকে গেছে। তাই তারা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। এমনকি লাঠি-ঝাঁটা হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় মহিলারাও। উত্তপ্ত জনতা ভাঙচুর চালিয়েছে শাহজাহানের অনুগামী শিবু-উত্তমের বাড়ি-অফিসে। জোর খাটিয়ে দখল করে নেওয়া মাছের ভেড়ি পুনর্দখল করেছে এলাকার মানুষ। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যপালও রাজ্যের কাছ ঠেকে রিপোর্ট তলব করেছে, এর পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। তার পরেও যেনও কিছুতেই শান্ত কড়া যাচ্ছেনা সন্দেশখালির আবহাওয়া। ফলে পরিস্থিতি যাতে আরও চরমে না পৌছায়, সন্দেশখালির কোনও রকম প্রভাব যাতে পাশ্ববর্তী অঞ্চল হিঙ্গলগঞ্জে না পড়ে সেই কারণেই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান।
সন্দেশখালি নিয়ে কী হুঙ্কার শুভেন্দুর?
সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা। সন্দেশখালি ১, ২ এলাকা জুড়ে মোট ১৬ টি পঞ্চায়েতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। আর উত্তপ্ত সন্দেশখালির আঁচ যাতে কোনওভাবে পাশ্ববর্তী এই এলাকায় না পড়ে সেই কারণে হিঙ্গলগঞ্জেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। পাশাপাশি এই জায়গায় আরও নজরদারি বাড়িয়েছে প্রশাসন। ইভিএম নিউজ