ব্যুরো নিউজ,২৬ সেপ্টেম্বর:জাপানকে পিছনে ফেলে ভারত বিশ্বে তৃতীয় শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ‘লওয়ি ইনস্টিটিউট এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স’ নামক একটি গবেষণা সংস্থার প্রকাশিত ২৭টি দেশের তালিকা অনুযায়ী, ভারতের এই উত্থান ঘটেছে। ভারতে যুব জনসংখ্যা বৃদ্ধি, এবং অর্থনৈতিক সাফল্যকে কেন্দ্রের তরফে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টি জেরে পথ চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে
প্রথম স্থানে কে?
এই সূচকটি সামরিক ক্ষমতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাংস্কৃতিক প্রভাবসহ আটটি মূল বিষয়কে ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ভারতের সামরিক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এবং যুবকদের সংখ্যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা দেশের জিডিপি বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে চলেছে।ভারতের জনসংখ্যা অত্যন্ত বিশাল, এবং যুব জনগণের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এই যুব সম্প্রদায় আগামীদিনে দেশের শক্তিশালী সম্পদ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার। তারা মনে করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান এবং প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়াও, দেশের সাংস্কৃতিক প্রভাবও ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামরিক শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে রাশিয়া থেকে অস্ত্র ক্রয়ের মাধ্যমে ভারত এই ক্ষমতা মজবুত করেছে। ফলে, ভারতের সামরিক শক্তি এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে দ্বিতীয় দফা বিধানসভা নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট
তালিকার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে চিন, এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে জাপান। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৬ এবং ২০ নম্বরে রয়েছে।ভারতের এই উত্থান একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করবে। এই সূচক দেশের সাধারণ জনগণের মনে আত্মবিশ্বাস ও গর্বের জন্ম দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী দিনে ভারত আরও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত হবে।