ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:আগামী মাসে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে নয়াদিল্লিতে। ঠিক সেই সময় নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তার বক্তৃতায় কাশ্মীরের পরিস্থিতির সঙ্গে প্যালেস্টাইনের সমস্যার তুলনা করেন। মোদী সরকারের ‘মুসলিম বিদ্বেষ’ নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি এবং কাশ্মীরে দ্রুত ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
পারিবারিক ঐতিহ্যঃ উদয়নিধি স্ট্যালিনের উপমুখ্যমন্ত্রী পদের অধিকার
তাদেরকে ফল ভোগ করতে হবে
এর জবাবে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদত দেওয়া কখনোই সফল হবে না। তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদেরকে ফল ভোগ করতে হবে। জয়শঙ্করের বক্তব্যের পর, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন পাকিস্তানকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ইসলামাবাদের ‘ভণ্ডামি’ চরম সীমায় পৌঁছেছে।পাকিস্তান সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধের জন্য কুখ্যাত।এছাড়া, পাকিস্তানকে সতর্ক করে ভাবিকা জানান, ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালালে তার অনিবার্য পরিণতির জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, “যে দেশে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে তাদের অস্ত্র বানানো হয়েছে, সেই দেশ কিভাবে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছে? এটি হাস্যকর।”এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদ সব ধরনের নীতির বিরুদ্ধে। কিছু দেশ এমন নীতি গ্রহণ করে যার ফল ভয়াবহ। পাকিস্তান তার উদাহরণ।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের ফল অন্যদের ভুগতে হয়। তাদের সমাজে ধর্মান্ধতা ছড়িয়ে পড়েছে।”জয়শঙ্করের কথায়, “আমাদের এখন পাকিস্তানের সঙ্গে দুটি বিষয় মেটাতে হবে, ভারতের বেআইনি দখল করা ভূখণ্ড মুক্ত করা এবং সন্ত্রাসের নীতি ত্যাগ করা।”২০১৯ সালের আগস্টে মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে ভারতকে আক্রমণ করে আসছে। শাহবাজ শরিফ তার বক্তৃতায় বলেন, কাশ্মীরের মানুষও প্যালেস্টাইনের মতো স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে।
রাতের শহরে মহিলাদের নিরাপত্তার পরীক্ষাঃ এসিপি সুকন্যার সাহসী অভিযান
ভারতীয় কূটনীতিকরা শাহবাজের অভিযোগের জবাবে জানান, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে। ভাবিকা বলেন, “পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন বানচাল করতে সন্ত্রাসের ব্যবহার করে যাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।”ভারতীয় কূটনীতিবিদ বলেন, “যে রাষ্ট্র ১৯৭১ সালে গণহত্যা করেছে, সেই রাষ্ট্র কীভাবে অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলছে? তারা এমন একটি দেশ, যারা বহু সন্ত্রাসবাদী হামলায় যুক্ত।” কাশ্মীর নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে খণ্ডন করে ভাবিকা বলেন, “একই কথা বারবার বললে পরিস্থিতি বদলায় না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”