ব্যুরো নিউজ, ১৬ মে : ১০ মে থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পাকিস্তানে আর্থিক পরিকাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। আর এই আর্থিক সংকট থেকে বেরতে পাক সরকার ‘বলির পাঠা’ বানিয়েছে সাধারণ মানুষকেই। কার্যত আর্থিক সঙ্কট কাটাতে জনগণের উপরেই চাপানো হয়েছে বিপুল করের বোঝা। এই অতিরিক্ত করের বোঝা, মূল্যবৃদ্ধিও পাশাপাশি বিদ্যুৎ সঙ্কটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। এর আগেও একাধিকবার পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে সেখানকার মানুষ। সরকারের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে সেখানকার আম জনতা। আর তার জেরে বন্ধ দোকান – বাজার। এমনকি আজাদির স্লোগান দিতে শোনা যায় বিক্ষভকারীদের। এছাড়াও ভারতের সমর্থনে ওঠে পোস্টার। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রুদ্রমূর্তি ধারন করে পাক সরকার। পাক আধা-সামরিক বাহিনী গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আর তাতেই মৃত্যু হয় বহু জনের। গুরুতর আহত হয় আরও কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে কার্যত জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মির।
প্রকাশ্য রাস্তায় গুলিবিদ্ধ প্রধানমন্ত্রী। আটক আততায়ী
যখন বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মিরে সেই সময়েই পাকিস্তানের সংসদেও দেখা গেল ক্ষোভ। মুত্তেহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট পাকিস্তান দলের নেতা সংসদেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। তাঁর বক্তব্য, এদিকে ভারত চাঁদে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের নালায় পড়ে মরতে হচ্ছে। তিনি এও বলেন, টিভিতে দেখি ভারত চাঁদে পৌঁছেছে, আর তারপরেই দেখি আমাদের দেশের বড় শহর করাচিতে খোলা নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও তিনি সে দেশের একাধিক দুরাবস্থার কথা তুলে ক্ষোভ উগড়ে দেন। করাচিতে পর্যাপ্ত পরিষ্কার জল নেই বলেও দাবি করেন। আর বিগত ১৫ বছর ধরে এই জলের অভাবে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সে দেশের আরও এক রাজনৈতিক নেতা মৌলানা ফজলুর রেহমানও ঠিক একই ভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদাহরন দিয়ে নিজের দেশের বরতমা পরিস্থিতিকে তুলোধোনা করেন। তিনি বলেছিলেন, ভারত সুপার-পাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, আর আমরা দেউলিয়া হওয়া এড়াতে ভিক্ষা করছি।
তবে এদিন পাকিস্তানের সংসদে মুত্তেহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট পাকিস্তান দলের নেতা সে দেশের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেন, সিন্ধ প্রদেশে ৭০ লাখেরও বেশি শিশু স্কুলে যায় না। আর গোটা দেশে প্রায় ২.৬ কোটি শিশু স্কুলে যায় না। দেশে মোট ৪৮ হাজার স্কুল রয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এই ৪৮ হাজারের মধ্যে ১১ হাজার স্কুলই বর্তমানে ভূতুড়ে।