ব্যুরো নিউজ,৩ ডিসেম্বর:ভারতের প্রথম হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট, গগনযান মিশন নিয়ে সারা দেশ জুড়ে বিশাল আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।২০২৬ সালের শেষের দিকে ভারতের এই মিশনটি মহাকাশে যাত্রা শুরু করবে। এই মিশনটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ভারতীয় মহাকাশচারীরা মহাকাশে যাবেন।পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে এই রকেট তিন দিনের মিশন সম্পন্ন করবে এবং সফলভাবে ভারত মহাসাগরে ফিরে আসবে।
ইসরো-নাসা সহযোগিতায় দুই ভারতীয় মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ শেষ
নতুন দিগন্তের উন্মোচন
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, এই গগনযান মিশনের জন্য কাজ চলছে গত চার বছর ধরে। রকেটটি প্রায় প্রস্তুত, তবে প্রথম মানবহীন রকেটের মহড়া হবে আগামী বছরের প্রথম দিকে। এ বছর ডিসেম্বর মাসে মহড়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু কিছু প্রযুক্তিগত কারণে তা সম্ভব হয়নি। ২০২৬ সালের শেষের দিকে, গগনযান মিশন শুরু হওয়ার আগে আরও তিনটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে, যার মধ্যে প্রথম রকেটে একটি রোবট, ব্যোমমিত্র থাকবে। এই তিনটি রকেটের সফল উৎক্ষেপণের পরে, তখন মানবসহ রকেট মহাকাশে পাঠানো হবে।গগনযান মিশন সফল হলে, ভারত হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা মহাকাশে মানুষ পাঠাবে। এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং চিন মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছে। ইসরো জানিয়েছে, এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের মহাকাশযাত্রার সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হবে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় নতুন ইতিহাস, শুক্রযানে অনুমোদন পেল ISRO
ইসরো জানিয়েছে যে মহাকাশচারীরা যখন মহাকাশে যাবেন তখন তারা কীভাবে মিশনটি পরিচালনা করবেন এবং মহাকাশযানটি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) সঙ্গে কীভাবে সংযুক্ত হবে, তা নিয়ে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্রুদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশচারীরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন।গগনযান মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি বড় মাইলফলক হবে।মহাকাশের নতুন দিগন্তে ভারতও এক নতুন ভূমিকা পালন করতে চলেছে।