ব্যুরো নিউজ, ২১ অক্টোবর :হাওয়াইয়ের আলাহা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৪৩ ২৪ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল তখন আচমকা বিমানের ছাদ উড়ে যায়। ৮৯ জন যাত্রী ঝুঁকির মুখে পড়লেও পাইলটের দক্ষতার কারণে সবাই নিরাপদে বাঁচিয়ে নেন। অনেকের জন্য বিমান ভ্রমণ একটি উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা। তবে এটি যখন বিপদে পড়ে তখন কেমন মনে হয়, তা কল্পনা করাও কঠিন।
বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আগমন আতঙ্ক বাংলায়
কিভাবে বাঁচালো পাইলট বিমানের যাত্রীদের জীবন
এই ঘটনাটি ১৯৮৮ সালের ২৮ এপ্রিল ঘটে, যখন আলাহা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হিলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হনুলুলুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর পাইলট একটি বিকট শব্দ শুনতে পান আর তার পর থেকেই বিমানটি কাঁপতে শুরু করে। এরপর হঠাৎ করে বিমানের ছাদের একটি বড় অংশ বাতাসে উড়ে যায়। যা ফলে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কেবিনে চাপ কমে যাওয়ায় যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা বাতাসে উড়তে শুরু করে।
পাসপোর্ট ছাড়াই সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াতে পারেন এরা ! কারা জানেন ?
এদিকে, পাইলট রবার্ট শর্নশাইমার এই কঠিন পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকার চেষ্টা করেন। তিনি অবিলম্বে জরুরি অবতরণের জন্য বিমানটিকে ঘুরিয়ে দেন। যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক পরতে এবং সিট বেল্ট বেঁধে রাখতে নির্দেশ দেন। বিমানের বাকি অংশ অক্ষত থাকার কারণে বিমানটি ধসে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। পাইলট নিরাপদ অবতরণের সুযোগ পান।
আরজি কর ঘটনার পর সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ
এই সময়ে, যাত্রীরা পাইলট এবং ক্রু সদস্যদের ওপর ভরসা রেখে শান্ত ছিলেন। তাদের সাহসিকতা এবং দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণের কারণে প্রাণ রক্ষা হয়েছিল। এই ঘটনা বিমান ভ্রমণের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ।