dumping area

ব্যুরো নিউজ, ২৯ মার্চ : হাওড়ার রাস্তাঘাটে আবর্জনার স্তূপ বেড়েই চলেছে। ওলিগলি থেকে প্রধান সড়ক—সব জায়গাতেই জমে উঠছে জঞ্জালের পাহাড়। দুর্গন্ধে এলাকার বাসিন্দারা নাজেহাল। যদিও শহরের বর্জ্য ফেলার জন্য কলকাতার ধাপা ভাগাড় নির্ধারিত হয়েছে, তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নামার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা জমতে শুরু করেছে, যা এখনও পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।

http://দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর নাম করে প্রতারণা, ভয়ানক পরিণতি দম্পতির ! তদন্তে কপালে চোখ আধিকারিকদের

ডাম্পারের অভাবে আবর্জনার স্তূপ

পুরসভা জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৩০টি ডাম্পার আবর্জনা সরিয়ে ধাপায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আগে হাওড়ার ৬০টি ডাম্পার ও লরি বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলত। কিন্তু বেশিরভাগ গাড়িই এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় এবং কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সেগুলি ধাপায় পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে দৈনিক আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

হলুদের এত গুণ! জেনেনিন অবাক করা সত্য

হাওড়ার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শহরের রাস্তায় জমে থাকা জঞ্জাল দ্রুত সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে বাইরে থেকে ১৫টি নতুন ডাম্পার আনা হচ্ছে, যা দিনরাত কাজ করে আবর্জনা পরিষ্কার করবে। তবে পুরনো গাড়িগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার হতে পারছে না। তাই অপেক্ষাকৃত ভালো ডাম্পার দিয়ে ধাপায় আবর্জনা পাঠানো হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু মূল সড়ক নয়, পাড়া-মহল্লার ছোটো ছোটো গলিতেও আবর্জনার স্তূপ জমছে, যা দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। দুর্গন্ধের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার আগে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।

বরফ, ফুল আর মেঘের খেলায়ে মাততে চান পরিবার নিয়ে ঘুরে আসুন সিকিমে

সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা,  শুধু শহরের রাস্তার আবর্জনা পরিষ্কার করাই নয়, বেলগাছিয়া ভাগাড়কেও ধীরে ধীরে পুরোপুরি পরিস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুর প্রশাসক। বায়োমাইনিং পদ্ধতিতে এই ভাগাড়ের বর্জ্য সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অন্তত দেড় বছর সময় লাগবে। হাওড়াবাসীর একটাই চাওয়া—যত দ্রুত সম্ভব শহরকে আবর্জনামুক্ত করা হোক। যদিও পুরসভা আশ্বাস দিয়েছে, খুব শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, তবে বাস্তবে কবে স্বস্তি মিলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর