ব্যুরো নিউজ ,২ অগাস্ট: লোকসভা ভোটের দিন ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে কেশপুর সংলগ্ন একটি জায়গায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। একটি রাজনৈতিক দলের লোকসভার প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেদিন হিরনকে ঘিরে ধরে এলাকায় ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি। হিরনের অভিযোগ, কেশপুরের ওই এলাকায় ঢুকতে পারিনি।আমাকে ঘিরে ধরে লুঙ্গি ডান্স শুরু করে তৃণমূল। তাছাড়া কেশপুরের বেশ কিছু বুথের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে সেখানে তৃণমূল কর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। প্রায় ২০০ বুথে বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি।খুল্লমখুল্লা ছাপ্পা ভোট করা হয়েছে বলে অভিযোগ হিরনের।
প্যারিস অলিম্পিক্স এ আরো একটি পদক স্বপ্নীল এর হাত ধরে
কি নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের?
ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরনের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে ভোটে রিগিং ছাপ্পা এবং সন্ত্রাস হয়েছে, কারচুপি করার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন হিরন চট্টোপাধ্যায়। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব জয়লাভ করে সাংসদ হয়েছেন। এবার কলকাতা হাইকোর্টে হিরন মামলা করতেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি নির্দেশ দেন, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের সমস্ত কাগজপত্র, বৈদ্যুতিন নথি, ভিডিও ফুটেজ এবং অন্যান্য সমস্ত ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে হাইকোর্টে।
২৫০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরল মহারাজ
ঘাটাল কেন্দ্রের পাশাপাশি আরামবাগ, ডায়মন্ডহারবার, বসিরহাট এবং কোচবিহার কেন্দ্রে ভোটে কারচুপি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম প্রতিটি কেন্দ্রের মামলা আলাদা আলাদা বিচারপতিদের কাছে পাঠিয়েছেন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে হিরনের দায়ের করা মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের এজলাসে পাঠানো হয়েছে। এবার সেখানেই ঘাটাল কেন্দ্রের সমস্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।