ব্যুরো নিউজ, ২০ জুন : ভোট মিটলেও অব্যাহত ভোটপরবর্তী সন্ত্রাস। বিজেপি কর্মীদের মারধোর, ঘর ছাড়া করা হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে তাঁদের ঘর বাড়িতে, এমনকি বিজেপি কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। একাধিক জায়গা থেকে এমনই হাজার হাজার অভিযোগ উঠেছে। আর এই সকল ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে উন্নয়নকে হাতিয়ার মোদীর
আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজভবনের সামনে অবস্থানে বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। তবে পুলিশের তরফ থেকে সেই অনুমতি না পাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা অন্য কোনও জায়গায় অবস্থানে বসার কথাও তোলেন। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর কাছে বিকল্প জায়গার সন্ধান চান। এই প্রসঙ্গেই গত বছর অক্টোবর মাসে তৃণমূল ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসেছিল। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান তিনি। এ বিষয়ে আগামী শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যসরকারকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আর সেদিনই অর্থাৎ আগামী ২১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
এদিকে এই বিষয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে একটি পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়েলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আপনার ‘শর্তাধীন প্রস্তাব’ গ্রহণ করছি না। কারণ এটি বিশুদ্ধ পক্ষপাত এবং আমাদের দেশে দুটি দলের জন্য দুটি পৃথক নিয়ম থাকতে পারে না। আপনি আগে একই জায়গায় তৃণমূল নেতাদের ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছিলেন। আপনার প্রশাসন হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তিনি এই পক্ষপাতের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন।
বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি করে রাজ্যপাল করে সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠিও লিখেছেন বিরোধী নেতা।