আর্থিক সংযম এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সংহতির প্রতিফলনস্বরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, আসাম সরকার রাজ্যের সৈনিকদের পরিবারগুলোর সহায়তায় একটি মিতব্যয়ী পদক্ষেপ এবং সচেতনতামূলক উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে।

শনিবার গৌহাটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিস্ব শর্মা এই ঘোষণা করেন ।তিনি জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব অপ্রয়োজনীয় সরকারি কার্যক্রম — যেমন সেমিনার, কর্মশালা, সম্মেলন এবং স্মরণসভাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান — স্থগিত রাখা হবে, যাতে প্রশাসনিক মনোযোগ ও আর্থিক সম্পদ সামরিক পরিবারের কল্যাণে পুনঃনির্দেশিত করা যায়।

“বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমরা আর্থিক সংযম গ্রহণ করার এবং প্রশাসনিক প্রচেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের পরিবারকে সহায়তার দিকে কেন্দ্রীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” বলেন শর্মা। “এই পদক্ষেপগুলো শুধু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং জাতির প্রতিরক্ষায় নিয়োজিতদের প্রতি আসামের সম্মিলিত শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির প্রতীক।”

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে, আসামের জেলাভিত্তিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে বর্তমানে কর্মরত সৈনিকদের পরিবার চিহ্নিত করা, স্থানীয় সহায়তা গোষ্ঠী গঠন করা এবং প্রয়োজনে তাঁদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করার জন্য। রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে সক্রিয় কর্তব্যে নিয়োজিত কোনও সৈনিককে যেন নিজের পরিবারের কল্যাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে হয়।

“আমাদের লক্ষ্য খুবই সহজ — আমাদের জওয়ানদের পরিবারের জন্য একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করা। যখন তাঁরা সীমান্তে থাকেন, তখন তাঁদের জানা উচিত যে তাঁদের নিজ রাজ্য তাঁদের পরিবারের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে,” বলেন শর্মা।

এই উদ্দেশ্যে, সব ডেপুটি কমিশনারকে স্থানীয় সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সমন্বয় সহজ হয় এবং যে কোনও লজিস্টিক বা মানবিক চাহিদা দ্রুত পূরণ করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর