ব্যুরো নিউজ,২১ ফেব্রুয়ারি :চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ রেখেছিল। শুরুতে অবশ্য মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচটি একপেশে জিতবে, কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটার তোহিদ হৃদয়ের এক দুর্দান্ত শতরান এবং জাকের আলির সহায়তায় বাংলাদেশ শক্ত প্রতিরোধ গড়েছিল। ১১৮ বলে ১০০ রান করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে হাল ধরেন তোহিদ হৃদয়। প্রথম আন্তর্জাতিক শতরানটি করেন তিনি, এবং তার এই ইনিংস দলের সংগ্রহকে ২২৮ রানে নিয়ে আসে। তবে, ইনিংসের মধ্যে একসময় পায়ে ব্যথা নিয়ে মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন তিনি, কিন্তু ফিজিওর সাহায্যে সুস্থ হয়ে আবার খেলা চালিয়ে যান। দৌড়ে রান নেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও তিনি মাঠ ছাড়েননি, এবং ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে একে একে শট খেলেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে শুভমনের দুর্দান্ত শতরান ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা
তোহিদ হৃদয়ের শতরান
তোহিদ হৃদয়ের শতরান একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই অপরদিকে জাকের আলির ব্যাটিংও ছিল অনবদ্য। ৬৮ রান করেন তিনি, এবং তাদের ১৫৪ রানের জুটি বাংলাদেশকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে আসে। ভারতের বোলাররা ভালো বল করলেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা অনেক সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ভারতীয় ফিল্ডিংয়ের ভুলগুলো অবশ্য বাংলাদেশকে কিছুটা সাহায্য করেছে। রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ড্য, লোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়স আয়ারদের ক্যাচ ফেলার কারণে বাংলাদেশী ব্যাটারদের রান সংগ্রহে সহায়তা করে ।ভারতের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেন মহম্মদ শামি। তিনি দুর্দান্ত বোলিং করে ৫ উইকেট নেন, এবং বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ভাঙতে সাহায্য করেন।
শামি প্রথম স্পেলে সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজকে আউট করেন, এবং পরবর্তীতে জাকের আলি, তানজিম হাসান সাকিব এবং তাসকিন আহমেদকে আউট করেন। ম্যাচে ১০ ওভার বোলিং করে ৫৩ রান দিয়ে তিনি ৫ উইকেট নেন, যা ভারতের জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বাংলাদেশের ২২৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দলের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল প্রথমে ভালো খেলছিলেন, তবে বিরাট কোহলি তাঁর স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না। তিনি ৩৮ বলে ২২ রান করেন এবং মাত্র একটি চার মারেন।
গুজরাট বাজেট ২০২৫-২৬ঃ শিক্ষা, অবকাঠামো এবং উন্নয়ন খাতে বিশাল বরাদ্দ
কোহলির ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে উদ্বেগ দেখা গেছে, বিশেষত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যদি তিনি রান না পান, তবে ভারতীয় দলের চাপ আরও বাড়বে। তবে শুভমন গিল ১২৫ বলের মন্থর শতরান করে ভারতীয় দলকে ম্যাচে ধরে রাখেন, এবং ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।দুবাইয়ের মন্থর পিচে ব্যাটিং করা যে সহজ নয়, তা প্রথম থেকেই দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশ শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও ভারতের শোচনীয় ফিল্ডিং এবং শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে বাংলাদেশ ২২৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ভারতের বোলিং শক্তি থাকলেও ফিল্ডিংয়ের ভুলগুলো তাদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে, শুভমন গিলের শতরান ও শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ের মাধ্যমে ভারত ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয়।