ব্যুরো নিউজ, ৪ জুলাই: গত মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানেই প্রায় ২.৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল। আর সৎসঙ্গ মিটতেই ঘটে বিপত্তি! সৎসঙ্গ শেষে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২২ জনের। ঘটনায় সৎসঙ্গের আয়োজকদের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও ধর্মগুরু ‘সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’র বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ।
অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন আড়িয়াদহ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত। এত দিন ধরে কি করছিল পুলিশ? প্রশ্ন…
তাঁর সভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়, ১২ বছর আগেও ভোলেবাবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এইভাবেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ১২ বছর আগে ভোলেবাবার সৎসঙ্গে ফুলরাই গ্রামেই এক ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের।
আর এবারও ঠিক সেই ভাবেই প্রান হারালেন ১২২ জন। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি ভোলেবাবার। ঘটনার পর গোটা একটা দিন কেটে গেলেও এখনও ফেরার ভোলেবাবা। এদিকে অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। শুধু এইটুকু বলেই দায় এড়িয়েছেন তিনি।
ধর্মগুরু ‘সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’র বিরুদ্ধে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। মরা মানুষকে জীবন্ত করে তোলার নামে ভেল্কি! আর তাতেই জেল খাটতে হয়েছিল ভোলেবাবাকে। মিথ্যা বলে ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ২৩ বছর আগে আগ্রা গ্রেফতার হন বাবাজি। তাঁর সঙ্গে তাঁর ৬ সহকারীকেও গ্রেফতার করা হয়। ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও রয়েছে।