mahavir jayanti

ব্যুরো নিউজ,৭ এপ্রিল: মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষ্যে হরিয়ানা সরকারের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে একটি নতুন সিদ্ধান্ত। আগামী ৯ এপ্রিল রাজ্যজুড়ে মহাবীর জয়ন্তী ও অহিংসা দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে মদ এবং মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নির্দেশের মাধ্যমে রাজ্যের প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে এবং মাঠে নেমে প্রশাসনিক কর্তারা নজরদারি চালাবেন।

Today petrol price: আজ পেট্রল ও ডিজেলের দাম কোন রাজ্যে কত থাকছে এক নজরে জেনে নিন

মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারের নির্দেশ ও প্রশাসনিক তৎপরতা

হরিয়ানা সরকার গত মঙ্গলবার এক ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে যে, ৯ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্যে কোথাও মদ বা মাংস বিক্রি করা যাবে না। ওই দিন রাজ্যজুড়ে ‘অহিংসা দিবস’ পালন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য সমাজে অহিংসার প্রচার ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে, রাজ্যজুড়ে সমস্ত কসাইখানা বন্ধ থাকবে এবং মাছ, মাংস, ডিম অথবা মদ বিক্রি করা যাবে না। প্রশাসনের তাবড় কর্তারা এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছেন। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, ডেপুটি কমিশনারদের নেতৃত্বে প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে যাতে এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়। মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের সচিব ও কমিটির সদস্যরাও বিশেষভাবে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

Today’s gold rate: দিনে দিনে সোনা রুপোর দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে,সেখান থেকে সামান্য স্বস্তি মঙ্গলবারে

এছাড়াও, কিছু দিন আগেই ওল্ড গুরগাঁও এলাকায় ২০০ জন শিব সৈনিক অন্তত ৫০০টি মাংসের দোকান ও কেএফসি আউটলেট জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে তারা সতর্ক করে দেয় যে, প্রতি মঙ্গলবার সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। এই ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবাদও হয়েছে, এবং এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারও রাজ্যজুড়ে অবৈধ কসাইখানা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২২ মার্চ, ২০২৫ তারিখে, উত্তরপ্রদেশ সরকার এক নির্দেশ জারি করে রাজ্যজুড়ে অবৈধ কসাইখানা ও মাংসের দোকান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে কিছু মাংস ব্যবসায়ী বনধের ডাক দেন এবং নিজেদের পেশার বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন।

তারা দাবি করেন, “যদি যোগী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে আমরা তাকে সমর্থন করি, কিন্তু আমাদের জীবিকা রোজগারের ওপর আঘাত আসলে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাব।” এভাবে, রাজ্যগুলোর মধ্যে মাংস ও মদ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের আন্দোলনের ঘটনা সামনে আসছে। তবে, হরিয়ানা সরকারের উদ্দেশ্য হল মহাবীর জয়ন্তীর দিন অহিংসা ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা।

রাজনীতি না ধর্ম? ওয়াকফ বিল নিয়ে সংসদে তীব্র সংঘর্ষ, কার স্বার্থসিদ্ধি?

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর