ব্যুরো নিউজ ,২ মে: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার তদন্তে উঠে এসেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার প্রধান হাফিজ সইদের নাম। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় বাড়ছে উত্তেজনা।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি
প্রাথমিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেছিল লশকরের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। পরে তারা সেই দায় অস্বীকার করে। কিন্তু ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, TRF সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের পিছনে মূল মস্তিষ্ক হাফিজ সইদ নিজেই।
এই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়, যখন লাহৌরের জোহর টাউনে হাফিজের বাড়ির চারপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নজর করা যায়। চার কিলোমিটার ব্যাসার্ধে বসানো হয়েছে উচ্চ রেজ়োলিউশনের সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি, মোতায়েন করা হয়েছে পাক পুলিশ, আধাসেনা এবং সশস্ত্র লশকর বাহিনী।
স্থানীয় এলাকায় চালানো হচ্ছে ড্রোন নজরদারি। কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি, হাফিজের গতিবিধি নজরে রাখতেই এই তৎপরতা। সম্প্রতি তাঁর ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে, যেখানে তাঁদের গতিবিধি স্পষ্ট ধরা পড়ে।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানে গত কয়েক মাসে একাধিক জঙ্গি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু এবং গুপ্তহত্যা ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটেই হাফিজ সইদের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে পাক সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, কাশ্মীরের ছায়া সংগঠনগুলিকে শুধু আদর্শগত দীক্ষা নয়, পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেন হাফিজ। সীমান্তের ও পার থেকে এই সমস্ত সাহায্যের বিষয়টিতে তাঁকে সহায়তা করেন লশকর-এ-ত্যায়বার ‘ডেপুটি’ সইফুল্লা কাসুরি।
তবে বর্তমানে কাসুরির কোনও খোঁজ নেই। তার গোপন আস্তানা কোথায়, সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি এখনও।
সব মিলিয়ে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড ঘিরে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে হাফিজ সইদ। তার জড়িত থাকার প্রমাণ সামনে এলে ভারত-পাক সম্পর্ক আরও একধাপ তলানিতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।