ব্যুরো নিউজ, ২ ফেব্রুয়ারি: রেলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট বরাদ্দ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সদ্য পেশ করা ২০২৪-২৫ দেশের অন্তর্বতীকালীন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রকল্পগুলির রুপায়ন ও আধুনিকীকরণের খাতে। আর এভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এরাজ্যেই তাঁদের রাজনৈতিক শুত্রু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের হাসি কিছুটা হলেও কেড়ে নিল।
অন্তর্বর্তী বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়ল না
গত আর্থিক বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল বাংলার রেলের খাতে। এবার সেই বরাদ্দ প্রায় ১১.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। যদিও এই বছরের বাজেট একেবারে ‘চমকহীন’ বললেও চলে। কারন ৩ কোটি আবাস ও ৩ কোটি মহিলাকে লাখপতি করার লক্ষ্য মাত্রা নেওয়া ছাড়া গরিব মানুষের জন্য প্রত্যক্ষভাবে কোনও ঘোষণা বা ভাবনা-চিন্তার অভাব সকলেই হয়তো বোধ করেছেন।
বরাদ্দ বাড়লেও নিয়োগ তলানিতেই!
তবে ভারতীয় রেলের জন্য এই বাজেটে বেশ কিছু বড় ঘোষণা করা হয়েছে। আর তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ রেল উন্নয়ন খাতে পেয়েছে ১৩,৮১০ কোটি টাকা। বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মেট্রো ও নমো ভারত বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেট্রো ও নমো ভারত প্রকল্প সম্প্রসারিত করার বিষয়েও বলেন।
সারা দেশে বন্দে ভারতের উন্নতমানের কোচের আদলে বাংলা থেকে ছাড়া রেলের কোচগুলিও আধুনিকীকরণ করা হবে। বাড়ানো হবে রাজ্যে রেলের গতিও, তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে ব্যয় করা হবে ওই অর্থ। কীভাবে যাতায়াত রেলের মাধ্যমে আরও দ্রুত করা যায় তারও পরিকল্পনা গড়তে রেল বোর্ড ও এ রাজ্যের রেল কর্তারা একসঙ্গে পরিকল্পনা তৈরি করবে।
কিন্তু, রেলে নিয়োগ বাড়ানোর কোনও দিশা বাজেটে মেলেনি। পরন্তু হাওড়ায় রেলের টিকিট-সহ অন্যান্য কাগজ ছাপার দফতরটি বন্ধ করে দেওয়া হল। এবার পূর্ব রেল এ সবই কিনবে বেসরকারি ছাপা খানা থেকে। ফলে ভারতীয় রেল যেখানে পরিষেবামূলক সবচেয়ে বৃহত্তম সরকারী সংস্থা তাই সেখানে নতুন নিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি দফতর বন্ধ হয়েগেলে ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়বে রেল চালানো। ইভিএম নিউজ