ব্যুরো নিউজ, ২২ এপ্রিলঃ ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে আজকাল অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া উপায় বা প্রাকৃতিক উপাদানে। সেই তালিকায় এক গুরুত্বপূর্ণ নাম ঘি। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতে নয়, ঘি-কে ব্যবহার করা যায় রূপচর্চাতেও। অনেকেই ভাবেন মুখে ঘি মাখলে ত্বক তেলতেলে হয়ে যাবে। কিন্তু ত্বক চিকিৎসকদের মতে, ভালো মানের দেশি ঘি নিয়মিত ঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকটাই বাড়ে। ঘিয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন A, D ও E— যা ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে, বয়সজনিত বলিরেখা রোধ করে এবং ত্বকের কোষকে পুষ্টি জোগায়। ফলে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও কোমল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?
ত্বকের পরিচর্যায় ঘি ব্যবহারের কিছু কার্যকর পদ্ধতি
স্ক্রাব হিসেবে ঘি:
রাতে মুখ ধোয়ার পরে এক কাপ মুসুর ডাল বাটা, দু’চামচ চন্দন গুঁড়ো, এক চা চামচ কাঁচা হলুদবাটা ও তিন চামচ ঘি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি মুখে ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। এতে মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।রাত্রিকালীন ফেসপ্যাক:
এক চামচ ঘিয়ের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে মুখে, গলায় ও হাতে-পায়ে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক হবে মোলায়েম ও দীপ্তিময়। চোখের নিচের কালি ও রোদে পোড়া দাগও হালকা হবে।দাগছোপ দূর করতে:
চিনি, লেবুর রস, হলুদ ও সামান্য বেকিং সোডা একসঙ্গে ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকে থাকা কালচে ছোপ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়।
সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডলের নার্কো পরীক্ষার অসম্মতিঃ আইনি লড়াইয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ
যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা ব্রণপ্রবণ, তাদের ঘি ব্যবহারের আগে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ত্বকের পরিচর্যায় দামি প্রসাধনীর পরিবর্তে প্রাকৃতিক ঘি হতে পারে আপনার ঘরোয়া বিউটি রুটিনের অন্যতম উপাদান। তবে মনে রাখতে হবে, ঘিয়ের উপকারিতা পেতে হলে নিয়মিত ও সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর হ্যাঁ, সবসময় বিশুদ্ধ দেশি ঘি ব্যবহার করাই ভাল। তখনই ত্বক পাবে কাঙ্খিত উজ্জ্বলতা ও কোমলতা।