ব্যুরো নিউজ, ৪ মার্চ: ২০২৪ সালে ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের ৫৪৩ টি লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র। এটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঘাটাল অঞ্চলে অবস্থিত। ৩২ নম্বর ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ছটি বিধানসভা কেন্দ্র এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল পাঁশকুড়া পশ্চিম, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাশপুর, ঘাটাল (তফসিলি জাতি ),কেশপুর( তফসিলি জাতি)।
২০১৯ সালে ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ছিলেন দেব ওরফে দীপক অধিকারী। ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৫৯টি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। তিনি ৬ লক্ষ ৯ হাজার ৯৮৬ টি ভোট পেয়েছিলেন। তৃতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআই প্রার্থী তপন গাঙ্গুলী। তার ভোটের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৬২টি
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন খন্দকার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ তিনি পেয়েছিলেন ৩২ হাজার ৭ ৯৩ টি ভোট।
বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র ‘মার্কসিট’
২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীপক অধিকারী ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬ ৯৬ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে এই অঞ্চলটি ছিল বামপন্থীদের গড়। ২০০৯ সালে সিপিআই প্রার্থী গুরুদাস দাশগুপ্ত ভোট পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৯২৩ টি। এই বামেদের গড় ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীপক অধিকারী।
দেব ওরফে দীপক অধিকারী ২৫ শে ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে মহেশখালী নামক কেশপুরের একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতা গুরু অধিকারী এবং মা মৌসুমী অধিকারী। বান্দ্রার একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। প্রোডাকশন হাউজ এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারস এর মালিক দীপক অধিকারী যার মঞ্চস্থ নাম দেব। তিনি একাধারে যেমন অভিনেতা, চলচ্চিত্র লেখক, প্রযোজক অপরদিকে রাজনীতিবিদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ২০১৪ সালে রাজনীতিতে আসা। তারপর থেকেই পরপর দুবারের সাংসদ ছিলেন দেব। মাঝে শোনা গিয়েছিল তিনি রাজনীতি থেকে বিরতি নেবেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেন তিনি। এবারও ২০২৪-এ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন দীপক অধিকারী। অপরদিকে ২০২৪ এ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেতা হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
১ জুন ২০১৯ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এই পাঁচ বছর সাংসদ দেবের সংসদ ভবনে কর্ম ক্ষমতা কি ছিল :
সংসদে পাঁচ বছরে উপস্থিতির হার ছিল ১২ শতাংশ।
সংসদে পাঁচ বছরে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ২ বার।
সংসদে পাঁচ বছরে প্রশ্ন করেছেন ১০৬ টি।
সংসদে পাঁচ বছরে ব্যক্তিগত সদস্য বিলের সংখ্যা শূন্য।