ব্যুরো নিউজ ১৭ মে: শোকের ভার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক দম্পতি। শনিবার সকালে সালকিয়া থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করা একটি লঞ্চে উঠেছিলেন তাঁরা। গন্তব্য ছিল আহিরিটোলা। কিন্তু মাঝগঙ্গায় পৌঁছেই ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হঠাৎই লঞ্চ থেকে একসঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন স্বামী-স্ত্রী।
‘সেফটি টায়ার’-এর সাহায্যে তৎপর উদ্ধারকাজ
লঞ্চের কর্মীরা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপ দেন গঙ্গায়। ‘সেফটি টায়ার’ ব্যবহার করে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা ছিলেন জীবিত, তবে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। পরে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
মমতার খামে রাজনৈতিক কৌশল? দিলীপের দরজায় পৌঁছল নবান্ন!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি হাওড়ার লিলুয়া ভট্টনগরের বাসিন্দা। তাঁদের একমাত্র কন্যার মৃত্যু হয়েছিল কিছুদিন আগে। সেই শোক তাঁরা কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারেননি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তরফে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়েও তাঁরা কোনও চিকিৎসা নিচ্ছিলেন না, বাইরে যোগাযোগও কমিয়ে দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও ভূতল পরিবহণ দপ্তর দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। লঞ্চের কর্মীদের উপস্থিত বুদ্ধি ও তৎপরতাই এক জোড়া জীবন বাঁচাল বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মমতার খামে রাজনৈতিক কৌশল? দিলীপের দরজায় পৌঁছল নবান্ন!
এই ঘটনায় এক বার আবারও প্রমাণ হল, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে অবহেলা করা কতটা ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবার বা কাছের মানুষদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা, মানসিক চিকিৎসা গ্রহণ এবং সময়মতো কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা জীবন রক্ষা করতে পারে। প্রসঙ্গত, এই দম্পতির নাম প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশ তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে। তাঁদের পরিবারকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তার জন্য সামাজিক স্তরে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও সচেতনতা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা।