After summoning Shahjahan, ED searched from place to place

ব্যুরো নিউজ, ১৭ ফেব্রুয়ারি: অবশেষে ৪৩ দিন পর সন্দেশখালির ‘খলনায়ক’ তৃনমূল নেতা শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণের মামলা রজু করল পুলিশ। কিন্তু ৪৩ দিন পর কেন? রাজ্য সরকারের কি বিলম্বে বোধদয়? তবে শুধু শিবু নয়, উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধেো একই ভাবে রজু করা হল গণ ধর্ষণের মামলা। ইতিমধ্যেই উত্তম সর্দার ধরা পরলেও, এখনও অধরা শিবু। উত্তম গ্রেফতার হয়ার পর দিনই জামিন পেয়ে যায়। কিন্তু আবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার ৮ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কিন্তু, শিবু মিডিয়ার সামনে তার বক্তব্য জানালেও ৪৩ দিন পরেও শিবুর হদিশ পাচ্ছে না কীর্তিমান রাজ্য পুলিশের দল। আর ওই মামলার মূল নাটের গুরু শেখ শাহাজাহান পলাতক। ৪৩ দিন আগে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সামান্য কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে সন্দেশখালির শাহাজাহানের বাড়িতে সাতসকালে হানা দেয় ইডি। তবে ইডির অভিযোগ, ওই ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে বাড়ির মধ্যেই ছিল শাহাজাহান। সেখান থেকে ফোনে তার অনুগামিদের ডেকে এনে ইডির অপর চরাও হতে নির্দেশ দেয়। তার ফলেই রক্তাক্ত হয় ইডি। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডির তদন্তকারী এক অফিসারের।

Advertisement of Hill 2 Ocean

প্রমোটারের বাড়িতে ইডি হানা

এতো -শতোর পরেও রাজ্য সরকার শাহাজাহান, শিবু ও উত্তমের পক্ষেই ব্যাট ধরছে।  শুধু তাই নয়, শাহাজাহান এলাকা ছাড়া হতেই সেখানকার মহিলারা দলে দলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। তারা অভিযোগ করে গভীর রাতে ওই ৩ তৃণমূলী ‘যুগমানব’ এলাকার সুন্দরী মহিলাদের দলীয় মিটিংয়ের নামে ডেকে পাঠাতো। সারা রাত ধরে তাদের ওপর যৌন নির্যাতন ও গণ ধর্ষণ চলত। সেকথাই এলাকার মহিলারা জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের। তাদের অভিযোগ ওই তিন কীর্তিমান গ্রামবাসীদের জমি কেড়ে নিয়েছিলেন। চাষের জমিতেই সমুদ্রের নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি তৈরি করে কতি কতি টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ আবার গ্রামবাসীদের পাঠিয়ে দিত ওই তিন তৃনমূল নেতার কাছে। এসব জানতে পেরে পরের দিন থেকেই শেখ শাহাজাহান অ্যান্ড কোম্পানি শুরু করে দিত ‘অপারেশন দাণ্ডা’। অভিযোগকারীদের ওপর চলতো বেদম লাঠির প্রহার। আতঙ্কে অনেকেই গ্রাম ছেরেছেন। আর শিবু ও উত্তম ও তাদের কিংপিং শাহাজাহানের বিলাস বৈভব হয়েছে আকাশ ছোঁয়া। গাড়ি, বাড়ি, জমি, প্রাসাদোপম অট্টালিকা, বাজার ও হোটেলের মালিক হয়েছেন ওই তিন তৃনমূলী। গ্রামের মহিলারা তৃনমূল কংগ্রেসের সমর্থক ও কর্মী হলেও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তাই তারা আজ লাঠি হাতে ময়দানে নেমেছেন। কিন্তু, তাদের কাছে বিস্ময় ও দুঃখের মহিলাদের সম্ভ্রম বাঁচানোর চেষ্টা না করে অপরাধীদের হয়ে টিভির টক-শো তে গলা ফাটাচ্ছেন নেতারা। কিন্তু জনরোষ শেষ পর্যন্ত আটকানো যাবে তো? ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর