ব্যুরো নিউজ ২৬ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তানে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে গদর বন্দরে, যেখানে বালুচিস্তানের স্থানীয় মানুষজন পাকিস্তান কোস্ট গার্ডের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। গত পাঁচ দিন ধরে এই বন্দর কার্যত স্তব্ধ হয়ে আছে। পরিবহণ সংগঠনগুলো সরকারবিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছে, যার ফলে পাক-চিন অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) এবং মাক্রান জাতীয় সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্য একটি বড় আর্থিক ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাজি নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর বসিরহাটের রাজনীতিতে নতুন মোড়
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন
কোস্ট গার্ডের নিত্যদিনের অত্যাচারের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন আন্দোলনকারী জানান, তারা বারবার প্রশাসনের কাছে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েও কোনও সাড়া পাচ্ছেন না। এ কারণে তারা ট্রাক অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ, সিপিইসি এবং অন্যান্য রুটে হাজার হাজার ট্রাক থমকে গেছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।বালুচিস্তান একটি উপদ্রুত এলাকা হিসেবে পরিচিত, যেখানে প্রায়ই জঙ্গি হামলা ঘটে। এই অঞ্চলে পাক তালিবানদের ঘাঁটি রয়েছে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রায়ই রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। গদর বন্দর পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। চীনের সহযোগিতায় কাশগড় থেকে গদর বন্দরের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সিপিইসি করিডোর, যা পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য একটি প্রধান প্রকল্প।অন্যদিকে, ভারতও এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর নিয়ে ১০ বছরের চুক্তি করে ভারত ইতিমধ্যেই একটি নতুন বন্দর গড়ে তুলেছে, যা পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সাহায্য করবে।
ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজে,নতুন কিপারের সম্ভাবনা!
এই ঘটনায় পাকিস্তান এবং চীন উভয়ের জন্য উদ্বেগ বাড়ছে। বিক্ষোভের কারণে অর্থনৈতিক করিডোর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সরকারের মাথাব্যাথা বাড়ছে, এবং চীনও নিজেদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। পরিস্থিতি যদি এমনই চলতে থাকে, তবে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও বড় সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।