ব্যুরো নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারি: প্রতারনার ঘটনা এ যেনও আজ নতুন নয়, প্রতিদিনই খবরের কাগজ বা নিউজ চ্যানেল খুললে হামেশাই নানা রকম প্রতারনার খবর সামনে আসে। কখনও নানান ভাবে নয়া নয়া কৌশল অবলম্বন করে সাইবার প্রতারনা। নতুবা চাকরীর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারনা। আবার কখনও ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ছাত্র-অভিভাবকদের প্রতারনা করা। কিন্তু এবার আরও বড় প্রতারনার অভিযোগ উঠলো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ফিক্সড ডিপোসিট ভেঙে ২ কোটি টাকা প্রতারণা
কৃষকদের জন্য বড় ঘোষণা | আখের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বাড়ালো কেন্দ্র
অভিযোগ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানতের ফিক্সড ডিপোসিটের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে ফিনান্স অফিসার ও রেজিস্ট্রারের সই নকল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী বলেন, একটা দুর্নীতি হয়েছে। ব্যাঙ্ক কী ভাবে টাকা দিল সেটাই বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। পাশাপাশি পুলিশকেও জানানো হবে ঘটনাটি।
সই জাল করে ফিক্সড ডিপোসিট ভেঙে সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর চিঠি দেওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে ব্যাঙ্কের কর্তারা। দেখা যায়, রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী ও ফিনান্স অফিসার (এফও) সৌগত চক্রবর্তীর সই জাল করে ব্যাঙ্কে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরপরেই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বর্ধমান থানায় অর্থ দফতরের ওই দুই কর্মীর নামে মামলা করা হয়। এমনকি অভিযুক্তদের শো-কজও করা হয়। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামনে আসে যে রকম ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একই ভাবে ফিক্সড ডিপোসিট ভেঙে সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করার জন্য ব্যাঙ্ককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। একের পর এক এই বিষয়গুলি সামনে আসতে কার্যত বিস্মিত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইভিএম নিউজ