ব্যুরো নিউজ ১৩ নভেম্বর :মঙ্গলবার বিকেলে ইএম বাইপাসের ধারে কালিকাপুরে ঘটল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বিকেল পাঁচটার কিছু পরে কালিকাপুরের একটি ঝুপড়িতে আগুন লাগে যা দ্রুত আশেপাশের ঝুপড়িগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই ছাই হয়ে যায় বেশ কয়েকটি ঘর। আগুনে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও ঘর হারিয়ে চোখের জল ফেলছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
নাশকতার ছক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, আতঙ্কে যাত্রীরা
আগুন লাগার কারন এখনও স্পষ্ট হয়নি
বউবাজারে নতুন সুড়ঙ্গ নির্মাণে এগোচ্ছে কাজ, ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগ
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুনের শিখা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পাশের পাকা বাড়ির ভেতরেও অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঢুকে যায়। ফলে একটি বিছানায় আগুন ধরে যায়। তবে বহুতল ভবন রেস্তরাঁ এবং দোকানগুলির দিকে আগুন ছড়াতে পারেনি সেগুলি নিরাপদ থাকে। মমতা হালদার নামে এক ঝুপড়ি বাসিন্দা বলেন, ‘প্রায় পাঁচ-ছ’টি ঝুপড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। আগুন দেখেই সকলে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে জীবন বাঁচাতে পেরেছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল, এখনও কিছু বুঝতে পারছি না।’
সল্টলেকে বাসের রেষারেষির ফলে বলি স্কুল পড়ুয়া
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দ্রুত আগুনের শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়। এর আগেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইএম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর বস্তিতে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রায় ৫০টিরও বেশি ঝুপড়ি ও দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ছিল আগুন লাগার প্রধান কারণ যা দমকলের চারটি ইঞ্জিনের দীর্ঘ চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডে নিম্ন আয়ের মানুষজনের বড় ক্ষতি হয়।