ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিভাবে জানবেন? হলে কিভাবে সারাবেন রইল সহজ কিছু টিপস

ব্যুরো নিউজ,মার্চ ১১ : আপনার অজান্তেই  আপনার লিভারে মেদ জমতে শুরু করেছে, আর এর ফলে শরীরের ভিতরে বাসা বাঁধছে ফ্যাটি লিভার! নিয়ে আসছে বিপদের আশঙ্কা!  যেহেতু অনেকেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান না, তাই ফ্যাটি লিভার নামক রোগটি অনেকের অজান্তেই বাড়তে থাকে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা, যা অনেক সময় ধীরে ধীরে আপনার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের অনেক তরুণ ও কর্মজীবী মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে মদ্যপানই একমাত্র কারণ নয়, অনেকেই যারা মদ্যপান করেন না, তারাও এই রোগে ভুগছেন।

স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে কোন অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জন্য জেনে নিন

ফ্যাটি লিভার কি?

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, ফ্যাটি লিভার দুটি ধরনের হতে পারে—অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। মদ্যপানের কারণে লিভারে চর্বি জমলে তা অ্যালকোহলিক ফ্যাট বলা হয়, তবে যদি খাদ্যাভ্যাসের কারণে অতিরিক্ত চর্বি এবং তেল যুক্ত খাবার খাওয়া হয়, তখন তা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হয়ে ওঠে। লিভারে যদি ১০ শতাংশের বেশি মেদ জমে, তবে তা মেটাবলিক ডিজফাংশন অ্যাসোসিয়েটেড স্ট্যাটোটিক লিভার ডিজিজ (MASLD) নামে পরিচিত একটি রোগের দিকে চলে যায়। যদি এটি বাড়তে থাকে, তবে লিভারের ক্ষতি, সিরোসিস এবং এমনকি লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়।

ফ্রুট স্যালাডের সঙ্গে সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতাঃ কোন কোন ফল একসাথে মেশানো উচিত নয় জানুন

ফ্যাটি লিভারের কারণে কী ক্ষতি হতে পারে?

যদি আপনার লিভারে মেদ জমে, তবে সেটা আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে কিডনি ফেলিয়োর, লিভারের সিরোসিস বা ক্যানসার এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা হতে পারে।

কখন বুঝবেন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

লিভারে মেদ জমে গেলে কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

  • দ্রুত ওজন কমে যাওয়া
  • সারা সময় বমি বমি ভাব থাকা
  • পেটের ডানদিকে ব্যথা
  • প্রস্রাবের রং গা dark হয়ে যাওয়া
  • প্রচণ্ড ক্লান্তি বা ঝিমুনি অনুভব করা
  • জন্ডিসের লক্ষণ

যদি এই ধরনের লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ঘুমের সমস্যা ও ভিটামিন অভাব: আপনার রাতের অস্বস্তির কারণ কি?

ফ্যাটি লিভার চিহ্নিত করতে কী পরীক্ষা জরুরি?

লিভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য কয়েকটি টেস্ট করা জরুরি:

  1. লিভার ফাংশন টেস্ট – লিভারের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করে।
  2. আলট্রাসাউন্ড বা ফাইব্রোস্ক্যান টেস্ট – এটি লিভারে মেদ জমা ও শক্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ দেখায়।
  3. ব্লাড সুগার, লিপিড প্রোফাইল, এইচবিএ১সি – উচ্চ চিনি বা চর্বি সমৃদ্ধ খাবারের প্রভাব বুঝতে এই টেস্ট করা হয়।
  4. এমআরআই বা সিটি স্ক্যান – লিভারের ভিতরের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়।

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় কী?

আপনি যদি ফ্যাটি লিভার এড়াতে চান, তবে কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

  • সুস্থ খাদ্যাভ্যাস – অতিরিক্ত চিনি, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ – ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করুন যাতে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে।
  • পানীয় নির্বাচন – নরম পানীয় বা সফট ড্রিঙ্কস থেকে দূরে থাকুন।
  • ভাল ঘুম – রাতে সময়মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এসব সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ জীবনযাত্রার মাধ্যমে আপনি ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর